পাখি সম্মেলন
একবার এক ফকির এসে এক ব্যবসায়ীর দরজায় হাত পেতে দাঁড়ালে ব্যবসায়িটি তাকে তার ভিক্ষাটুকু দিলেন বড় অনাদরে।তখন অই ফকির কেঁদে ফেললেন।ব্যবসায়ী জানতে চাইলেন কাঁদছো কেনো?ফকির উত্তর করলনে-আমার তো কিছুই নেই আমি কত অনায়াসে চলে যাবো,এই সমস্ত জাঁকজমক ছেড়ে যেতে তোমার কত কষ্ট হবে!

অই একটামাত্র কথা সেই ব্যবসায়ীর জীবন আমুল পাল্টে দিলো।তিনি তার সমস্ত ধন-সম্পদ ত্যাগ করে ধুলোর জীবন আপন করে নিলেন।শব্দের মুঠো ভর্তি করে তুলে আনলেন হিরক খন্ড।
তিনি লিখলেন-আঘাত’ই তো সেই দরোজা,যা দিয়ে আলো আসে ঘরে।
তার নাম ফরিদ উদ্দীন আত্তার।
আত্তারের “কনফারেন্স অফ বার্ডস” এর পাখিদের কথা মনে পড়ে। তারা হুপো পাখির নেতৃত্বে রওনা দিয়েছিল সত্যিকারের সিমুর্গ এর খোঁজে। পথে ছিল সাতটি উপত্যকা-ভালোবাসা, জ্ঞান, মুক্তি, একতা, বিস্মৃতি, অনিত্যতা, এবং অবশেষে, মৃত্যু। প্রতিটি উপত্যকা ছিল আত্মার গভীরতম অন্ধকার অতিক্রম করার প্রতীক। শেষ পর্যন্ত যারা টিকে রইল, তারা আবিষ্কার করল যে সিমুর্গকে তারা বাইরে খুঁজছিল, সেই সিমুর্গ আসলে তাদের ভেতরেই লুকিয়ে ছিল।
আসলে প্রেমই সেই রহস্যময় আয়না, যেখানে আত্মা নিজের প্রকৃত মুখ দেখতে পায়।
আত্তার বলেছেন,-যে দুই জগতের রহস্য জানতে চায়, সে প্রেমের রহস্য খুঁজে নেবে, আর সেই প্রেমেই খুঁজে পাবে ঈশ্বরের মুখ।