বাড়ি
এই বাড়িটা ঘিরে শীতঘুমের ফিনফিনে নির্জনতা। কয়েকটা আলাভোলা পাখি, হাসু ‘বুর থালার বৈপ্লবিক ঝনঝনে মোহ ভাঙে, নির্জনতা না।
গেটের মুখে প্রেমহীন ডাকবাক্সে সম্পর্কের রাঙতা মোড়া অভিযোগের পার্সেল আসে, খুললেই মাথা দোলায় সাপরঙা দুঃখ। অথচ দুঃখকে বন্দী করে রাখবার মতো যথেষ্ট কারাগার আমার নেই,সাধ্য নেই পার্সেলদাতাকে ফেরাবার।
সারাদিন জড়িয়ে থাকি কতোসব জঞ্জাল, গৃহস্থালির আঁশটে চাদর।হাসফাস লাগে। কড়িকাঠ থেকে ঝুকে আসে শোকবস্ত্রের মতো একখন্ড অন্ধকার।তখন একজোড়া সুখী শালিকের কথা মনে পড়ে। যাদের মাঝখানে আজও শুয়ে আছি অনাহুত এক চড়াই।আমাদের শহরগুলো ঘিরে অনন্ত শীতকাল। কুয়াশা ঘষে ঘষে স্পষ্ট করি তোমার কাঁধে বিস্মৃত সেই ছায়াশরীর -যাকে একদিন আধচেনা স্টেশনে ফেলে চেপে বসেছি ফিরতি ট্রেনে।তোমাকে তার ভেতর নিশ্চিন্ত দেখে, নিয়ে ফিরেছি এই পরিত্যক্ত স্থাবর।