সেদিন বলছিলে -তুুমি কেবল আমাকে নিয়েই লিখছ
পৃথিবীটাকে নিয়েও লিখতে পারতে,লিখতে পারতে জানা অজানাকে নিয়ে।
আমি স্মিত হেসেছিলাম
বলা হয়নি – তোমাকে আবিষ্কার কোরেছি আমি পৃথিবী আবিষ্কারেরও বহুপূর্বে।
তখনো তোমার সংগে আমার দ্যাখা হয়নি
ফলন ভালো হয়নি বলে কিষাণীর পায়ের কাছে পরে থাকা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ দুপুরটার যে বর্ণনা লিখেছিলাম
এই এতোদিন পর তা হুবহু মিলে গেছে তোমার সংগে!
তোমার জেগে উঠা শরীর ছেনে আমি বুঝেছি মানুুষের মৌলিক চাহিদা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, হাহাকার
তোমার পোড়া ক্ষত আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে
বেশ্যা রাজনীতিবিদ আর নুয়ে পড়া বহুগামী রাষ্ট্রের অবক্ষয়।
আমি তোমার মধ্যেই দেখেছি ঈশ্বর
এবং তোমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটতে দেখেছি অন্ধকার
একই দূরত্বে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তোমার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতে দেখেছি মানবিকতা এবং অমানবিকতাকে।
আমি তোমার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছি সুখ
আমি তোমার মধ্যে কাঁদতে দেখেছি দুঃখ
আমি তোমার আঙুলের ছাপে খুঁজে পেয়েছি পাপ
চোখের তারায় আশ্চর্য পবিত্রতা!
আমি আরও পেয়েছি
তোমার ঠোঁটের তুুরুপে পৃথিবীর তাবৎ ভুল এবং শুদ্ধতা
রাষ্ট্র, দ্রোহ, বিপ্লব, স্লোগান, মিছিল,
প্রেম, ভালোবাসা, প্রত্যাখান, ঘৃণা, শরীর!
সবই তুমি!
তোমাকে ছুঁয়েই প্রতিটি শব্দ কবিতা
আর প্রতিটি কবিতাই পৃথিবী, জানা এবং অজানা।
তুমি না হলে শব্দরা নত মুখে আমার কাছ থেকে দূর বহুদূর।
তবে কেনো আমি তোমাকে নিয়ে লিখবোনা?
এবং
একদিন তোমাকে লিখতে লিখতেই আমি লিখে ফেলবো সমস্ত পৃথিবী,জানা অজানা!