অন্যমনস্ক পাতারা
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দেবিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটামানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুরতার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতাকোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনেআরও অনেক দুজনার মধ্যে।
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দেবিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটামানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুরতার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতাকোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনেআরও অনেক দুজনার মধ্যে।
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে। শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়। এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
চিঠির পৃষ্ঠা থেকে ক্রমশ ঝুলে পড়েছে অক্ষরমালাযেনো এরচেয়ে সহজ গন্তব্য নেইনাবছে দুপুর অতৃপ্তির কোষাগারকোথাও সূর্য শকুনের ডানার কাছাকাছিকোথাও চাঁদ বনের উচু গাছের মিত্রএতো উচ্চতাপ্রিয় ধারণায় আমি নিম্নগামী বিন্দুছিটকে গেছি বৃত্তের বর্তূল ঘূর্ণনেআমি প্রেমিকপ্রেমের তরল থেকে জীবন নিংড়ে নিতে ভুল করে গলে গেছি সাবানের ফেনায়উঠে গেছিস তুই যেনো পূণ্য হলো স্নানবুঝি কবিতা ছলে তোর হাত ধরতে…
আমিও কুকুর। তুমি ডাকলে আজও দরোজায় এসে দাড়াই তুমি ডাকলে এতোসব দুর্যোগের ভেতর যেনো আজও আমার উৎসব আছে যেনো আমিও রুঢ়তা ভুলে জীভ বের করে দাঁড়িয়ে থাকা সহজ কলমীলতা তুমি ডাকলে আমি আমার ভেতরে আমি ভেজা বিস্কুটের মতো গলে গলে পড়া অথচ কতবার ফিরিয়ে দিয়েছো ডেকে বলেছো, দুঃখটা সেরে গেছে দরোজাটা ওদিকে কতোবার তোমার নিষ্পাপ…
খুব তৃষ্ণা পেলে দু’হাতের আঁজলা ভরে তোমাকে তুলে নেবো ঠোঁটে, ভ্রুণ ভেঙে শৈল্পিক কারুকার্যেগহন উদার নিসর্গে তোমাকে দেবো হঠাৎ বিকেলমাথা থেকে পায়ের নখ জীভের তুলি আঁকবে প্রেমের শরীর।যেখানে এতোকাল খেলেছেন ঈশ্বররহস্যময় ঘুলঘুলিতে আমরা হাতড়ে ফিরেছি অন্ধকারের উর্বর জমিআমাদের দ্রাঘিমাংশের ক্ষয়ে যাওয়া অলীক আলোবাতাসের মালহারে উদ্বেলিত গোপন বিষাদের রীড অসুখের কোটরে তরতর করে বিস্ময়ের দ্যোতনায় নিজেকে…
চারপাশে কাচের দেয়াল তুলে দিয়ে স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছিনিজেকে বন্দী করতে করতে একবিন্দু হয়ে গেছিটের পাইনি..জ্বরের ঘোরে একটা হাত খুঁজতে গিয়েপাশের ঘর থেকে ভেসে এসেছে মর্গের শীতলতারাস্তা পার হওয়া শিখবার আগেই আঙ্গুল থেকে মুছে গেছে নির্ভার হাতের ছাপএখন পাশে থাকা গল্পগুলো কেবল বলয়বিকেলের মৃত শরীরে ফেরে রাত পুরনো প্রবাদেঅন্ধকারের সময়সীমা পেরোলেই ভোরথিয়েটার পাড়ার মগ্ন মঞ্চের মতো মহড়ায়…
একটা রাত কাটিয়ে যেও শিয়রেদেখবে কী অনাদরে নিঃশ্বাস পরে থাকে পোষা বালিশেখসে যাওয়া তারার খোসায় চাওয়ার জীবাশ্ম আগলে রাখা দৃশ্যপটকেওকী অমূলক, অসহায় দেখায়দেখবে তুমি-এই অন্ধকারে রোজ মৃত্যু নিয়ে দাঁড়িয়েছি আমিদরোজায় হাইড এন্ড সী খেলায় নিজের ভেতর ডুবে গেছে যেতাকে কোনোদিন ডাকেনি কেউতাকে ফিরিয়ে দিয়েছে মৃণ্ময় সুখতোমার জন্য লিখে রেখেছে সে চিরহরিৎ জীবনপেতে দিয়েছে পর্নমোচি বুক…
খুব কাছ ঘেষে দাঁড়ালে আজও হাত কাঁপে অথচ মুছে গেছি কতোদিনভীষণ আগুন জ্বেলেদুজনে আলগোছে, দু’দিকে।এখন ভালোবাসার রাত নামে হাভাতে অন্ধকারে ক্ষুধার্ত শিশুর পেটেপাশ দিয়ে হাঁকিয়ে যায় লাস্ট লোকাল, কোলাহল, মানুষতোমার জানালার শীতার্ত ঢাকনা খুলে ওম খুঁজে নক্ষত্রের ছায়াআমাদের কথা ভেবে চির অসুখী প্রেমিকার বুকের খাঁজে জমে শ্যাওলানাভীর চারপাশে উল্লাসে ফেটে পরে ক্ষুধার্ত শিশুর হাহাকারউরুর বৃত্তে পাক…
ট্রেনের ভেতরে এ শহরে প্রেমিক আসেহুইসেলটা চিৎকার করতে করতে চলে যেতে থাকে স্টেশনের দিকেজানালা বন্ধ করে রাখি, ;কোনও হুইসেলে আমি আর জাগাতে চাইনা ভালোবাসা ;তোমাকে। একটা রোমান্টিক বর্ষাকাল জুড়েতোমার স্যাতস্যাতে শরীরে আমি যেনো নিঃসঙ্গ রেইনকোটআমার পর্যাপ্ততা ওইটুকুই। পুইয়ের মাচায় বেড়ে ওঠা দূরত্বে কাটাঘুড়ি জীবন ঢুকে পড়ে ইউক্যালিপটাসের বুকেজিরাফ শূন্যতার দাউদাউ তরুণী দিনস্টেপলার পিনে আটকে থাকে পাঁজর দেয়ালেঅভিমানের জরায়ুতে…
কুপির আলোয় নাকছাবিডার দিকে চাইয়া থাকিরাইত বাড়নের লগে লগে কইলজার ভিত্রে তুমি জিওল মাছের লাহান উছলাওআমারে এমুনতরো এক্লা লাগে ক্যান?বড় পাগল পাগল লাগেবুকের ভিত্রে উছলায় তিন পরাণের গাঙরাইতগুলা রাক্ষসের লাহান আমারে খায়া ফালাইতে চায়!আন্ধারের লগে কথা কইতে কইতেতুমার কিচ্ছা হুনাইতে হুনাইতেআমি খালি উতলা হইআসমানের কাঁন্দনের লগে আমিও কাঁন্দিনিজেরে নিজেই কই-আমার একখান চাওয়া আছিলো, হুনবা?একটা জীবন…