অন্যমনস্ক পাতারা
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
এঁটো থালাবাটির পাশে পরে থাকে আকাশমাছির মত ভনভন করা দিনভাতের থালায় দুপুর মাখে বিস্বাদসন্ধ্যার দানে নিলাম হয় তোমার চোখআমার হেরে যাওয়া দান!বাড়ি ফেরার মুখে ঝুলে থাকে অবসাদ।রাতগুলো চুরি হয়ে যায়পাহাড়ের বুক থেকেকিন্নর কাঁদে ঝর্ণার পাথুরে চোখজেগে থাকে সমুদ্র, অনন্তকাল।নিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়েআরও একবার ভুলে যায়ডাঙায় উঠা মাছের ছটফট থেকে যায় গভীরে।ফেলে যাওয়া চোখ কুড়ায় বুড়ো প্লাটফর্মভীড়ের…
এখানে কোথাও মুক্তি নেইদেহের চুনকামে আবদ্ধ আত্মা বিধ্বস্ত ডানায়এখানে পাখিরাও আত্মহত্যাপ্রবন অধীর কান্নার স্রোতআয়ত চোখে উদগ্রীব অন্ধকার কেড়ে যে যা নিয়ে যায় তা ফিরিয়ে দেয়া কি এতো সহজ! জীবন্ত চিতায় মুখাগ্নি রোজনীরব নীরবতায় অভিমানের হৈ চৈহাতের রেখায় অনন্ত ক্ষয় জানি এ পৃথবীতেসুখের মিছিল সার্বজনীন নয়। এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার…
একটা জীবন আমারও ছিলো, তোমাদের বুকের ভেতর কতো জন্মে গত।আমার বসন্তের শরীর, এক ঢোঁক অন্ধকারে নিভে জ্বলে জলে গ্যালো।একটা জন্ম আমারও ছিলো, তোমার বুকের ভেতরমাফলারে ফসিল হয়ে থাকা ওমে গ্রীষ্মকালীন খড়ার গল্পেবন্দর ছেড়ে গেলে জাহাজ, বহুকাল ঘড়ির কাঁটায় অনাহারি সময়ে।তোমার মৃত্যুর পর ভাঁজ করে রাখি আঙুলপ্রেমমূলতপ্রত্নতত্ত্বীয় হাহাকারজ্বলতে থাকা মোম এর নিঃশেষ হবার গান।ঠোঁটের ভেতর সমস্ত…
বিমর্ষ চায়ের কাপের মুখোমুখি বসে আছো তুমিদূরে কোথাও নেমে আসছে আকাশআঙুুলে তুমুল তৃষ্ণা নিয়ে তুমি কী কিছুটা বিষণ্ন! এখানে বিকেলটা ঝরা পাতার পাঁজর ভাঙার শব্দ নিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ; সম্ভবত আমিও! এই যে আমি হারিয়ে যাচ্ছিতোমার বুকের ভেতর ভায়োলিন হোয়ে বাজছে ব্যথাএরচেয়ে অধিক সত্য পৃথিবীতে আর নেই! আমরা জানি ভালোবাসা এক দীর্ঘকালীন চর্চাএবংনির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে…
শরীর ভেজা দিনে* থামতে থামতে ভেসে গেছি, ঢেউ বলেছে এসোবৃক্ষ শাঁখায় ব্যথার বেশে মানুষের মুখওপাতায় দুলছে হাওয়া,ঝরছে বুক ঢলোঢলো-হৃদয় মর্মর মাটি, পায়ের তালু তৃণ অইতো সর্বনাশের নদী-খোলা মাঠে উদোম গায়ে ছুটছে জীবন ঝুঁকিনগ্নতাকে আঁকড়ে ধরে বাজছে বীণা ধ্রুপদলহর থেকেই আসছে ভেসে বধ করা অসুরবসে আছো ভোরের ভেতর ধোঁয়ায় উড়া মাছি, কতযুগ পরের তুমি, কত যুগের আমি?আমরা…
সুবিধাভোগী ধারালো দাঁত ছিবড়ে খায় মুরগির ঠ্যাং, রাশিয়ান ভদকাএতো রোশনাই! এতো আলোয়লকলকে জীভ কুকুরের মতো চাটে লোভের চিবুকের তিলবিকিয়ে যায় মুন্ডুহীন কঙ্কালআহা! কী মোহময়ক্ষমতার উদ্ধত বুকএনাকোন্ডার মতো মুখে পুরে আস্তে আস্তে গ্রাসআরাম করে ভীষণ ধীরে ধীরে ধীরে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি অনেক কিছু করবার আছে আপনার কী কিছু দেবার আছে?“শোন কালু তোর বউটা তো দারুণ সুন্দরীযা হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলাম…