তোমাকে লিখতে চেয়ে -৩
ফিরতে ফিরতে ফেরা হয়নি এমন না ফেরা আমার অনেক আছে।
গাছের ছায়ায়, পাতার আড়ালে, তোমার হাসির মিথ্যা সম্ভাষণে। সেইসব না ফেরা এখন স্তুপ হয়ে ভয় দেখায়।
যে ঢেউগুলো ছিলো সেগুলো গত হবার পরে এই নিস্তব্ধতার সাথে যেটুকু বন্ধুত্ব সেটুকুই এখন অস্তিত্ব। তৃষ্ণার পাশে শূন্য পিপির মতো পরে থাকা!
এখন দুপুর গড়ালে একটা টানা বারান্দা, দূরে ছাতিম গাছ, এসে দাঁড়ায় অচেনা বাড়ির চেনা মেয়েটি, অবদমনের শাড়িতে প্যাঁচানো শরীরে, দোলে আশ্বিনের সবুজ মাঠ, আমার চোখ, ধোঁয়া ধোঁয়া।
কারও কিচ্ছু যায় আসেনা।অদ্ভুতভাবে লাগোয়া দূরত্বে বয়ে যায় সব অবিচল।
আমাকে মেঠোপথের কাছে রেখে পিচঢালা পথে চড়ে বসে সভ্যতা। আমি ক্লান্ত হতে থাকি। থুরথুরে পা থেকে ঢিলেঢালা পাজামার মতো খসে পড়ে সময়।
কতোটা ক্লান্ত হলে পরে তুমি এসে দাঁড়াও জানা নেই। জানা নেই পরিধির বাইরে এ ধ্বসে কতোটা ক্ষয়াটে হতে থাকে আয়ুরেখা। শুধু সকাল দুপুর আর রাতের ভেতর থেকে যখন মাথা উঁচু করে বের হয়ে আসো আমি থামাতে পারিনা এই ভাঙন।