হেম
আমাকে ভুলে গেছো ভেবে
হেমের কপালে চুমু খাও
তোমার ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে পুরনো ত্বকের স্বাদ, আমি
বিশ্রী এক ব্যথায় ব্যাকুল চেপে ধরো
আস্তিনের মতো লেপ্টে থাকে হেম
পৌঁছাতে পারেনা গভীরে ।
*
ভুলে গেছো ভেবে পা বাড়াতেই
ভূমধ্য সাগর থেকে তোমার দিকে ধেয়ে আসে শিশির
স্মৃতির নিঃসঙ্গ করিডোরে
আরও নিবিষ্ট হয়ে ওঠো হেমের শরীরে
কাকে খুঁজো তুমি ওভাবে?
আষাঢ়ের মিহি সুতো নিপুণ আর্দ্রতায় তোমাকে নিয়ে আসে আমার দিকে
তোমার টানেলে প্রবাহিত প্রতিটা স্রোত আজও আমার কাছেই এসে থামে।
*
ভাবছো পেরিয়ে গেছো, যাবে
রোজ উল্টাচ্ছো পাতা তার
তুলে রাখছো অবসন্ন বুকসেল্ফে
অথচ ফিরে যাচ্ছ সেই বইয়ে, পড়ছ তাকে
যাকে পড়া হয়না বহুকাল
যে নেই তোমার সাজানো বুকসেলফে
আওড়াচ্ছ তাকেই, উল্টাচ্ছ পাতা হেমের।
*
হেম
তোমার নিজস্ব নারী
এ পরিচয়ের পর বধির হয়েছে আমাদের মধ্যকার শব্দের সমস্ত মাত্রা
উচ্চারণশৈলী লতিয়ে ওঠা ত্রোস্ত দ্বিধায়
দুটি বিন্দুর দূরত্ব একই সরলরেখায় বহুদূর। *
শব্দের যেকোনো পার্বণে আমাদের দেখা হয়ে যায়
কবিতার নিখাদ বুননে জানাও
তুমি সে, যাকে আমি মনে রাখিনি আর।
হেমের উজ্জ্বল চোখের তারায় পাক খাওয়া বিষণ্নতা
নখের ডগায় লেগে থাকা তীব্র নীরবতার
দিকে তাকিয়ে ভাবি
এই যে এতোসব উৎসব, আলো, কবিতা, রাত
এই এতো আয়োজনের ভেতরে হেম কোথায়?