a group of people walking down a hallway

এ শহরের গলিতে গলিতে

এ শহরের গলিতে গলিতে গোঙায় সদ্যজন্মা প্রেম
কর্পোরেট আলিঙ্গনে হোঁচট খায় বুক।
তোমাদের রঙচঙা সো কলড অাভিজাত্য ঢেকে দেয় জীবনের সহজ স্বাভাবিক কৈশোর
এখানে বিস্মৃতির সীমানায় হা-হুতাশে ভারী হয়ে উঠে বাতাস
পাখিদের চোখে বৃষ্টি খুব
গাছেরাও অভিমানে ফিরিয়ে রাখে মুখ।
তোমাদের কবিতার ভেতর বাসা বাঁধে গুইসাপ
ভালোবাসার হাত গিলে ফেলে নিকেষের শান্ত কুমির
যোগ্যতার সফরে যুগান্তকারী সম্পর্কের জাল, সফলতার নির্মেঘ আকাশ
শীতলতার বিক্ষোভে প্রতিবাদের নিজস্ব কন্ঠস্বর
লক্ষ্যহীন বিঁধে থাকে পাথরে-পৌঁছায় না কোথাও
এ শহরের আমি কেউ নই, ছিলামনা কখনোই
আমি অপেক্ষা করে থাকি তোমার
তুমি হারিয়ে থাকো রূপকথায়
ঘুমিয়ে থাকো আমার হাত পাহারায়।

মাধ্যমিকে ফেল করার পর বাবা বলেছিলেন তোর ভাগ্যে অন্ধকার আছে
চলে যাওয়ার দিন তুমি বললে-
তোমার কোনো দোষ নেই আমার ভাগ্যে তুমি নেই
সেই থেকে আমি শহরকে তন্ন তন্ন করে ভাগ্য খুঁজি
শ্রী তারকেশ্বর ভোলানাথ ব্র্যাকেটে জ্যোতিষবিদ গ্রহ নক্ষত্র বিশারদ
তিনি বলেন সমস্ত লেখা আছে হাতের মুঠোয়
আমি হাত মেলে দেই
হাতের তালুতে বেগোনভিলিয়ার মতো ছেয়ে থাকা রেখা দেখিয়ে জানতে চাই
বলুনতো এখানে কোথায় আলো পাওয়া যাবে!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *