অন্যমনস্ক পাতারা
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে মার্বেলের মতো ছুঁড়ে দিয়েছি বেলাদেবদারুর গায়ে নেমে এলে কিন্নর বিকেলচিবুককে বলেছি ভয় পেওনাঅতোটা নিঃসঙ্গতা তোমাকে ছোঁবেনা।….আর তুমি আমাকে বাজেয়াপ্ত করেপিয়ালের বনে গাঢ় শুয়ে আছো অনভিপ্রেত ঘুমেআমার সমস্ত ভালোবাসা গলাকাটা মোরগের মতো কাতরাচ্ছে তোমারই সিথানে যেনো ব্যাকুল কোনো কবিতাদৃশ্যআলোড়ন তুলে নিভে যাবে নির্লিপ্ত, নীরব শব্দের কোঁচকানো ঢেউ, পাশেই ক্লান্ত টঙ্কারনিষ্প্রভ আয়ুরেখা থেকে উঠে আসাএকটা সদাব্যস্ত দীর্ঘশ্বাসে জেনেছি …
রাতের বুকে মাথা রেখে আমি অন্ধকারকে শুনি।ভেতরে ছটফট করে কর্পোরেট হুলস্থুল,তুমি।মন্থর পায়ে বুকের সিঁড়ি ভাঙা এইসব রাতে বৃষ্টি হয় খুব।জানালার চোখ নিয়ে যায় দূরস্মৃতির জলাবদ্ধতা সাঁতরে ফিরতে আমার খুব ক্লান্ত লাগে, জানো!ভালোবাসার অবাধ্য অন্ধকার এসে জড়ো হয়এখানে তুমি নেইতোমার শহরসময় থেকে অনেক দূরআমার খুব ঘুমিয়ে পরতে ইচ্ছে করেঅসংখ্য বিস্মৃতির নিরালা ঘরে জেগে থাকা তোমাকেঅন্ধকারের দেয়াল…
আমাকে তুমি বলে দিতে পারো বলে থামিয়ে দিলে কোলাহলওভাবে বহুদিন কেউ স্পর্শ করেনি আমায়যেভাবে তোমার পাঁচটা আঙুল কিনে নিলো অবলীলায়কেউ বললো অন্যায় করছিস, করছিস অযাচারশুধু এইটুক জানতামকাঠঠোকরার মতো পাঁচটি আঙুল খুঁড়ে চলেছে হৃদয় আমারভালোবাসছি আবারশুধুমাত্র সেই পাঁচটা আঙুলকে তোমারযেখানে আমি রাখতে চেয়েছি এতোকালএকটা নির্জন রাতের অনাহারএকটা বিচ্ছিন্ন সমুদ্রতটঅনাহত প্রবল ঝড়,গুড়ো কান্নার দমকএকটা ঝরা পলাশের দলিত…
সভাঘরের এককোণে আপনার সবচেয়ে সুন্দর ছবিটা টানিয়ে আলোচনা হচ্ছেকিছুক্ষণ আগে আপনাকে আবৃত্তি করেছেন একজন সুন্দরী রমণীযার চিবুকে একটি গাঢ় তিল আছেতিলটা সম্ভবত আপনার জীবনের মতো ক্ষুদ্র এবং তার সৌন্দর্য কবিতার মতো বিস্তৃতআপনি শুনতে পাচ্ছেন?ওরা বলছেআপনার কাগজে উড়ে বেড়াতো ঝাক ঝাক সোনালী পাখিশুনেছি আপনার প্রেমিকার কিছু স্বপ্ন ছিলোবেঁচে থাকার দিনে আপনার পায়ের জুতোটা ছেঁড়া ছিলো! উচ্চাংগ…
এ শহরের গলিতে গলিতে গোঙায় সদ্যজন্মা প্রেমকর্পোরেট আলিঙ্গনে হোঁচট খায় বুক।তোমাদের রঙচঙা সো কলড অাভিজাত্য ঢেকে দেয় জীবনের সহজ স্বাভাবিক কৈশোরএখানে বিস্মৃতির সীমানায় হা-হুতাশে ভারী হয়ে উঠে বাতাসপাখিদের চোখে বৃষ্টি খুবগাছেরাও অভিমানে ফিরিয়ে রাখে মুখ।তোমাদের কবিতার ভেতর বাসা বাঁধে গুইসাপভালোবাসার হাত গিলে ফেলে নিকেষের শান্ত কুমিরযোগ্যতার সফরে যুগান্তকারী সম্পর্কের জাল, সফলতার নির্মেঘ আকাশশীতলতার বিক্ষোভে প্রতিবাদের…
কতোটা অগোচর ছিলো নির্লিপ্ত এই ফিরে আসাজানে অরণ্য বিষাদ মেখে উড়ে যাওয়া পাখির ডানা। ফেলে আসা ছায়ার শরীরে তুমি গোটা গোটা অক্ষরে লিখে চলেছো নীরব প্রত্যাহার তোমার অনভ্যস্ত আলাপচারিতার দিকে তাকিয়ে ভাবিঅলীন্দের দেয়ালে আমিই অলঙ্কৃত করেছি তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ পোর্ট্রেট।