অন্যমনস্ক পাতারা
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
সব্জির দোকানে ছেটানো জলমাংসের দোকানে লেগে থাকা রক্তের ভিড় ভালোলাগেনা আমারভালোলাগেনাভেজানো ছোলায় ফেঁপে ওঠা রাক্ষসকরমচা চোখযাপনের আটপৌড়ে আলনায় ঝুলে থাকা বাহারি জামা। আমি এসব থেকে দূরে যেতে চাই। চাদরের ঝুল বেয়ে নেমে যায় কচ্ছপ রাতমেঝেতে ছড়ানো রিপুর কাঁদমাটি মাড়ানো পা ভিজতে থাকে বর্ষায় আমি শুধু তোমাকে ভাবি,মুঠোয় করে আনি সমুদ্রশ্বাসঅথচ তুমিও মানবিকঅমানবিক কানাঘুষা ছুড়ে মারো আমার মুখে এই বলে স্বান্তনা…
১ জলের শরীর খুলে বেরিয়ে আসা রূপালী মাছতোমার কাছে পরাস্ত হয়ে কাঁদে আমার শিকারী পন্থা। ২ এই অবোধ কান্নার দিনে আমাকে দিতে পারো মুঠোভরে ভাঁটফুল?এসে দাঁড়াও ইচ্ছের কাছেতোমাকে গাইবে বৃষ্টি শেষের দুলতে থাকা হাওয়ামানুষের অশেষ ক্লান্তিআমাকে এঁকে ফেলার আগেতোমার চিবুক ছোঁয়াও ডুবগামী রূপালী মাছ।
সভাঘরের এককোণে আপনার সবচেয়ে সুন্দর ছবিটা টানিয়ে আলোচনা হচ্ছেকিছুক্ষণ আগে আপনাকে আবৃত্তি করেছেন একজন সুন্দরী রমণীযার চিবুকে একটি গাঢ় তিল আছেতিলটা সম্ভবত আপনার জীবনের মতো ক্ষুদ্র এবং তার সৌন্দর্য কবিতার মতো বিস্তৃতআপনি শুনতে পাচ্ছেন?ওরা বলছেআপনার কাগজে উড়ে বেড়াতো ঝাক ঝাক সোনালী পাখিশুনেছি আপনার প্রেমিকার কিছু স্বপ্ন ছিলো বেঁচে থাকার দিনে আপনার পায়ের জুতোটা ছেঁড়া ছিলো!
সব্জির দোকানে ছেটানো জলমাংসের দোকানে লেগে থাকা রক্তের ভিড় ভালোলাগেনা আমারভালোলাগেনাভেজানো ছোলায় ফেঁপে ওঠা রাক্ষসকরমচা চোখযাপনের আটপৌড়ে আলনায় ঝুলে থাকা বাহারি জামা। আমি এসব থেকে দূরে যেতে চাই। চাদরের ঝুল বেয়ে নেমে যায় কচ্ছপ রাতমেঝেতে ছড়ানো রিপুর কাঁদমাটি মাড়ানো পা ভিজতে থাকে বর্ষায় আমি শুধু তোমাকে ভাবি,মুঠোয় করে আনি সমুদ্রশ্বাসঅথচ তুমিও মানবিকঅমানবিক কানাঘুষা ছুড়ে মারো আমার মুখে এই বলে স্বান্তনা…
হাতের শৃঙ্খল খুলে দিলে বাগান বাড়ির দরোজাকরুণ আঙুল কথা রাখতে শিখেছে খুব।করিডোর থেকে হেঁটে এলে বিকেলপৃথিবীর হেরেমে বাস করা সিসিফাসরা দাঁড়ায় বাসের অপেক্ষায়অফিসের সেমিট্রিতে হাড়গোড় সামলাতে সামলাতে রোগা হৃদপিন্ড দাঁড়িয়ে থাকো তুমিওপুরনো বন্ধুর সংগে দেখা হলে জানতে চাও “কেমন আছিস? “প্রেমিক আঘাত পেয়েছে শুনলে ছুটে যাওতোমার খবর রাখতে আসেনা কেউ? তোমার জন্য অপেক্ষা করেনা বাড়ি? কেউ বলেনা…
রাতের মসৃণ শরীরে পাথরের মতো চেপে থাকা স্তব্ধতা আমাকে টুকরো টুকরো করে উল্লাস করেদিন হলেই পুরনো অস্বস্তির ক্ষুরধার নখ আঁচড়ে আঁচড়ে ছিন্নভিন্ন করতে থাকে মনোযোগ।এসব একই নিয়মে রোজ ঘুরেফিরে আসে।তোমাকে মিথ্যে জানার পরআমার মাথার পাশে সারাদিন কাঁদে একটা মাধবীলতা গাছতোমাকে মিথ্যে জানার পরআমার হৃদপিন্ড হয়ে উঠেছে একটা আদর্শ প্যারাসাইটআর তুমি?প্রচন্ড ভালোবেসে, সব থেকে টেনে নিয়েছুঁড়ে দিয়েছো…