পার্বন বেলা
অনেক স্রোতের পর এখানে স্থিতধী হাওয়া
দুরন্ত সেসব ঢেউ পড়ে আছে শৈশবের দাওয়ায়
এখন বেলা অস্তগামী, ফিকে হয়ে আসা রঙে
দৈর্ঘ্য প্রস্থ বেড়েছে জামার,বেড়েছে দূরত্ব আনন্দবেলার
এখনো এখানে বাবা বাড়ি ফেরেন ব্যাগভর্তি হুলস্থুল নিয়ে
বাড়ি থেকে ওইটুকুই তো দূরত্ব ঈদগাহ’র
হঠাৎ পরিচিত কোনও রান্নার ঘ্রাণে সাড়া ফেলা মায়ের
পুরোনো প্রণয় যেমন কথা বলে
পার্বনের দিনে এমনই হেঁটে আসে ব্যথা, উঠে আসে শোক
নিশ্চুপ নিঝুম স্মৃতির স্তুপ
এখন পার্বণ মানেই পুরোনো ক্ষততে আঁচড় লাগা,টিমটিমে আলোর দপ করে জ্বলে ওঠা
বাছুরের চোখের মতো মলিন, বিষন্ন, ছলছলে কোনও দিন।