অন্যমনস্ক পাতারা
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দে
বিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটা
মানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুর
তার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতা
কোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনে
আরও অনেক দুজনার মধ্যে।
শরীর ভেজা দিনে* থামতে থামতে ভেসে গেছি, ঢেউ বলেছে এসোবৃক্ষ শাঁখায় ব্যথার বেশে মানুষের মুখওপাতায় দুলছে হাওয়া,ঝরছে বুক ঢলোঢলো-হৃদয় মর্মর মাটি, পায়ের তালু তৃণ অইতো সর্বনাশের নদী-খোলা মাঠে উদোম গায়ে ছুটছে জীবন ঝুঁকিনগ্নতাকে আঁকড়ে ধরে বাজছে বীণা ধ্রুপদলহর থেকেই আসছে ভেসে বধ করা অসুরবসে আছো ভোরের ভেতর ধোঁয়ায় উড়া মাছি, কতযুগ পরের তুমি, কত যুগের আমি?আমরা…
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া পথিকের মতো লাগছে তাকেসময়ের কড়াল ঝাপ্টায় অবসন্ন আমার কী উচিৎ তার পাশে খানিকক্ষণ বসাআলতো করে তার হাতে হাত রাখা আমি ভাবছিআটপৌঢ়ে শাড়ির মতো দীর্ঘ ক্লান্তিকর ভাবনাঅথচ আমার ভাবা উচিৎস্বচ্ছ জলের মতো টলটলে ভাবনাজঞ্জালহীন নিরেট কোনো ভাবনা আমি এগুচ্ছি গুটিগুটি পায়েপথের উপর শুয়ে থাকা মৃত পাতার শরীরদুঃখ দুঃখ চোখে তাকাচ্ছে আমার দিকেধানক্ষেতের হুল্লোড়ে…
যে ছায়া তুমি পুতে দিয়েছো অন্য কারও বুকেধরো, কোনো একদিন সে আর বাড়ি ফিরলোনা।তুমি খুঁজতে লাগলে ব্লেড, স্লীপিং পিল, উচু কোনও দালান।জেনো, এমন অনেকদিন আমারও গ্যাছে জেনো,বহুদিন আমি ফিরিনিএকাই হেঁটেছি ফুটপাত অন্ধকারের গতিবুুকের ভেতর ভেঙেচুুড়ে ঘরবাড়িঅভিমানে নিলাম ডেকে একান্ত শহরভিড়ের পায়ে পায়ে চলে গিয়েছে কোথায়, কে জানে!এভাবেই এক একটা দিন গ্যাছেতোমাকে মুছে ফেলেছেঘড়ির কাঁটার সূ্ক্ষ্ম…
সব্জির দোকানে ছেটানো জলমাংসের দোকানে লেগে থাকা রক্তের ভিড় ভালোলাগেনা আমারভালোলাগেনাভেজানো ছোলায় ফেঁপে ওঠা রাক্ষসকরমচা চোখযাপনের আটপৌড়ে আলনায় ঝুলে থাকা বাহারি জামা। আমি এসব থেকে দূরে যেতে চাই। চাদরের ঝুল বেয়ে নেমে যায় কচ্ছপ রাতমেঝেতে ছড়ানো রিপুর কাঁদমাটি মাড়ানো পা ভিজতে থাকে বর্ষায় আমি শুধু তোমাকে ভাবি,মুঠোয় করে আনি সমুদ্রশ্বাসঅথচ তুমিও মানবিকঅমানবিক কানাঘুষা ছুড়ে মারো আমার মুখে এই বলে স্বান্তনা…
তোমাকে পান্থশালা ভেবে ঢুকেছিলো যে তুমি তার মাথাটাকে চিবিয়ে খেলে। অতোটা অনৈতিক না হলেও পারতে,প্রয়োজন ছিলোনা অবতারণার অনর্থক একটি শব্দের । হৃদপিন্ডের দাঁতগুলো নেকড়ের মতো, হাতগুলো শিকারী বাঘ। যখন তুমি তার সবচেয়ে নরম অংশটাকে চিবিয়ে খাচ্ছিলে এক বৃদ্ধা ক্যারল গাইছিলেন ঈশ্বর কুটিরে।ধর্মাবতাররা জানতেন না পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চোখ ছিলো দীনহীন কুড়েঘরেরএকজোড়া মানুষকে কখন আগুনের মতো…
আদ্যোপান্ত প্রেম আমাকে নিগুঢ় করে।তোমার সাড়াহীন শব্দরাজির বলয়েআমি নতজানু রাধাবাঁশির বিষ ধারণ করে বুকেশস্যের তলায় গোঙানো সবুজ আরপত্রালীর অর্কেস্ট্রায়চোখ নিভিয়েছি জলে বালির দেশে হারিয়ে আসা তোমার হেটের মতো হারিয়ে যাবো-মৃত্যুর ডাকবাক্সে প্রেমিক জলের আবর্তে প্রলম্বিত অপেক্ষায় আমি রাধাতোমার রাধাবুকের আর্গল খুলে আমাকে সমাহিত করো প্রিয়।