পাখিদের দূরত্ব
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
রাতের বুকে মাথা রেখে আমি অন্ধকারকে শুনি।ভেতরে ছটফট করে কর্পোরেট হুলস্থুল,তুমি।মন্থর পায়ে বুকের সিঁড়ি ভাঙা এইসব রাতে বৃষ্টি হয় খুব।জানালার চোখ নিয়ে যায় দূরস্মৃতির জলাবদ্ধতা সাঁতরে ফিরতে আমার খুব ক্লান্ত লাগে, জানো!ভালোবাসার অবাধ্য অন্ধকার এসে জড়ো হয়এখানে তুমি নেইতোমার শহরসময় থেকে অনেক দূরআমার খুব ঘুমিয়ে পরতে ইচ্ছে করেঅসংখ্য বিস্মৃতির নিরালা ঘরে জেগে থাকা তোমাকেঅন্ধকারের দেয়াল…
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া পথিকের মতো লাগছে তাকেসময়ের কড়াল ঝাপ্টায় অবসন্ন আমার কী উচিৎ তার পাশে খানিকক্ষণ বসাআলতো করে তার হাতে হাত রাখা আমি ভাবছিআটপৌঢ়ে শাড়ির মতো দীর্ঘ ক্লান্তিকর ভাবনাঅথচ আমার ভাবা উচিৎস্বচ্ছ জলের মতো টলটলে ভাবনাজঞ্জালহীন নিরেট কোনো ভাবনা আমি এগুচ্ছি গুটিগুটি পায়েপথের উপর শুয়ে থাকা মৃত পাতার শরীরদুঃখ দুঃখ চোখে তাকাচ্ছে আমার দিকেধানক্ষেতের হুল্লোড়ে…
এখানে কোথাও মুক্তি নেইদেহের চুনকামে আবদ্ধ আত্মা বিধ্বস্ত ডানায়এখানে পাখিরাও আত্মহত্যাপ্রবন অধীর কান্নার স্রোতআয়ত চোখে উদগ্রীব অন্ধকার কেড়ে যে যা নিয়ে যায় তা ফিরিয়ে দেয়া কি এতো সহজ! জীবন্ত চিতায় মুখাগ্নি রোজনীরব নীরবতায় অভিমানের হৈ চৈহাতের রেখায় অনন্ত ক্ষয় জানি এ পৃথবীতেসুখের মিছিল সার্বজনীন নয়। এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার…
কতোটা অগোচর ছিলো নির্লিপ্ত এই ফিরে আসাজানে অরণ্য বিষাদ মেখে উড়ে যাওয়া পাখির ডানা। ফেলে আসা ছায়ার শরীরে তুমি গোটা গোটা অক্ষরে লিখে চলেছো নীরব প্রত্যাহার তোমার অনভ্যস্ত আলাপচারিতার দিকে তাকিয়ে ভাবিঅলীন্দের দেয়ালে আমিই অলঙ্কৃত করেছি তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ পোর্ট্রেট।
গভীরেতোমাকে শুনবো বলেনির্জনতার পাথর সরাতে সরাতে পেরিয়ে যাই রাতহয়তো তোমাকেও?অন্বয় অন্ধকারের ভেতর কল্পতরুর শিকড় ছড়িয়েতোমার চোখ খোঁজে কাকে?কার শরীরেপেতে দাও ভাবনার নিনাদ আঁচল?কোথায় মেলে একটা পাখি জন্ম?কিছু প্রশ্ন ডিঙিয়েএকদিন ঠিক বসন্ত হবোবেড়ে উঠবে তুমিআবার শুনতে পাবো তোমায়সামুদ্রিক হাওয়া জানান দেবে খুব কাছেই সমুদ্র;নির্জন কোনো দ্বীপডানার মলাটে আকাশ লিখবে বানভাসী উড়ান!একদিন ঠিক বসন্ত হবোবেড়ে উঠবে তুমিসেদিন…
তোমাকে ভালোবেসে এখানে দাঁড়িয়ে থাকি হতবুদ্ধি বইয়ের পাতার মতো অপেক্ষা করি আঙুলের এই বুঝি এলে কিছু ধুলো আলগোছে সরিয়ে অপেক্ষায়আমাকে আবৃত্তি করে অপ্রকৃতস্থ যৌবন মাথার ভেতর ভীষণ হৈ চৈ লিখে ফেলি শিহরিত রাত, আমাদের সন্তানেদের ঘুমন্ত মুখতাপহীন বুকে শতশত আগ্নেয়গিরির উত্তাপ…. অনন্ত ইথারে অনর্গলতোমাকে ঠিক তেমনই ভালোবাসিযেমন বেসেছি ঝরা জলপাই পাতার লালশহুরে হাওয়ার বিজন অন্ধকার তোমাকে…
খুব ভালো লাগলো 🤍