পাখিদের দূরত্ব
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া পথিকের মতো লাগছে তাকেসময়ের কড়াল ঝাপ্টায় অবসন্ন আমার কী উচিৎ তার পাশে খানিকক্ষণ বসাআলতো করে তার হাতে হাত রাখা আমি ভাবছিআটপৌঢ়ে শাড়ির মতো দীর্ঘ ক্লান্তিকর ভাবনাঅথচ আমার ভাবা উচিৎস্বচ্ছ জলের মতো টলটলে ভাবনাজঞ্জালহীন নিরেট কোনো ভাবনা আমি এগুচ্ছি গুটিগুটি পায়েপথের উপর শুয়ে থাকা মৃত পাতার শরীরদুঃখ দুঃখ চোখে তাকাচ্ছে আমার দিকেধানক্ষেতের হুল্লোড়ে…
ঠোঁটের তুরুপে সাজানো শব্দগুলো পরিব্রাজক অভিমান নয়, ভালোবাসার কোরাস।মন নদীর ছোট্ট ছোট্ট ঢেউ,পরিত্যক্ত বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজ।বুকের সিঁড়ি ভাঙা মন্থর পা,ভালোবাসা- মরে যাওয়া ঘাসের ফিরে পাওয়া আর্দ্রতা,গাঢ় সবুজ।আস্তাকুড়ে কুুঁচকানো জীবন।পান্ডুলিপির হারানো পাতার মতো অসমাপ্ত পাঠ,ধু ধু বালিয়াড়ি।আয়নায় প্রতিচ্ছবির হিম, ধীর মেঘেদের দল। পাতার ফাঁকে চুঁয়ে পড়া রাত, ঝুলে থাকে বিষাদগ্রস্ত বাদুড়।উদগ্রীব জ্যোছনার ভিস্যুুভিয়াস দহন।মৃত নদীর…
আমিতো চিরকাল পড়ে আছি এই ভ্রুকুটি চরেপাখি উড়ে গেছে, ঝরে গেছে বিবিধ গৃহস্থালীনাচের মুদ্রা ভেঙে গেলে ঢেউয়েসারেঙের চোখ ফিরেছে তার ঘরেপলি হয়ে জমেছি ফসলি ক্ষেতের ধারেশস্যের আলো কড়া নেড়ে জাগাবে জেনেঘুমিয়েছি কৃষকের মনেজাগায়নি সে, স্রোত এসে ভাঙিয়েছে আমারেপ্রয়োজনে তুলেছে জল জনপদের ঝোপঝাড় থেকে উঠে আসা স্বজনআমিতো চিরকালই পড়ে আছি এমন।
তোমারে ব্যথায় রেখে আমি একাই হাঁটি। শহর দাঁড়ায় থাকে বৃষ্টি মাথায়। কোথাও হয়তো দূরেই বাচ্চারা চিৎকার করে রেইন রেইন গো এওয়ে! আমি কোথায় যাবো ভেবে তোমারে দুঃখ দেই। শহরের দুই একটা পুরুষ আমারে ধাক্কা মেরে চলে যায়। আমি দাঁড়ায় থাকি। বৃষ্টি মাথায় হাঁটতে হাঁটতে দেখি জারুলের থোকা। জারুলের মতোন তুমিও কি এতোটা বেগুনী হও আমার…
শরীর ভেজা দিনে* থামতে থামতে ভেসে গেছি, ঢেউ বলেছে এসোবৃক্ষ শাঁখায় ব্যথার বেশে মানুষের মুখওপাতায় দুলছে হাওয়া,ঝরছে বুক ঢলোঢলো-হৃদয় মর্মর মাটি, পায়ের তালু তৃণ অইতো সর্বনাশের নদী-খোলা মাঠে উদোম গায়ে ছুটছে জীবন ঝুঁকিনগ্নতাকে আঁকড়ে ধরে বাজছে বীণা ধ্রুপদলহর থেকেই আসছে ভেসে বধ করা অসুরবসে আছো ভোরের ভেতর ধোঁয়ায় উড়া মাছি, কতযুগ পরের তুমি, কত যুগের আমি?আমরা…
গভীরেতোমাকে শুনবো বলেনির্জনতার পাথর সরাতে সরাতে পেরিয়ে যাই রাতহয়তো তোমাকেও?অন্বয় অন্ধকারের ভেতর কল্পতরুর শিকড় ছড়িয়েতোমার চোখ খোঁজে কাকে?কার শরীরেপেতে দাও ভাবনার নিনাদ আঁচল?কোথায় মেলে একটা পাখি জন্ম?কিছু প্রশ্ন ডিঙিয়েএকদিন ঠিক বসন্ত হবোবেড়ে উঠবে তুমিআবার শুনতে পাবো তোমায়সামুদ্রিক হাওয়া জানান দেবে খুব কাছেই সমুদ্র;নির্জন কোনো দ্বীপডানার মলাটে আকাশ লিখবে বানভাসী উড়ান!একদিন ঠিক বসন্ত হবোবেড়ে উঠবে তুমিসেদিন…
খুব ভালো লাগলো 🤍