পাখিদের দূরত্ব
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
কোথাও যাবোনা, দুজন বসে থাকবো পাতাদের ঝরা শব্দেবিকেলের দিকে হেলে যাবো কিছুটামানুষের পায়ের কান্নায় যে পথ ভিজে ভিজে গেছে সারা দুপুরতার কাছে ,ফিরবো শুনশান নীরবতাকোথাও যাবোনা, শুধু বসে থাকবো দুজনেআরও অনেক দুজনার মধ্যে।
তোমাকে পাবার প্রত্যাশায় রোদগুলো মরে যাচ্ছে শহুরে গ্রাফিতিতেউচু মিনার থেকে হামগুড়ি দিয়ে নামছে অন্ধকার।শুধু পূর্বাভাস শুনেচায়ের কাপে গড়ানো সময় আর অন্ধকারবসে থাকছে একরোখাআমি ডুবে যাচ্ছি একটা চুপচাপ বিকেলেবুকের খুব কাছ ঘেষা ধুকপুকেযেনো তুমি বসিয়ে রাখছো খুব পাশে!এই যে তুমি বসিয়ে রাখছোআমার থেকে দূরেআমার রোদগুলো ঢেকে যাচ্ছেমানুষের দুর্বিষহ পথের স্মৃতি বুকে নিয়ে পুরনো হচ্ছে আমার জুতোগুলো…
বুক থেকে উঠে দাঁড়ায় কুকুর, দু’পায়ে হেঁটে যায়আমি সেইদিকে তাকাইযেদিকে ছায়া একা পড়ে রয়যেদিকে কান্নারত রমণীর বুক থেকে আঁচল খসে গেলেপ্রেমিক আজও পুরুষযেদিকে বিধবা পায়ের ব্যথা মাখে শুধু পথযেদিকে ক্ষুধার অনেক নাম!দালানের বাগানে ফুটে থাকে ডুমুরের ফুলগভীর রাতে ছলকে ওঠা আততায়ী শোকেঅবিরল বাষ্পে উড়ে যায় স্নেহার্দ্র জলতলানিতে থেকে যায় হিংস্রতার লবণ …ওইটুকু জিভে রেখে খোদাই…
ডোমদের হাতে সরোদ হয়ে বাজে নিথর শরীর,আত্মহত্যার সুর! বিসংবাদিত সময়ের যেকোনো আত্মহত্যাপ্রবণ সন্ধ্যাএবংএপিটাফ কখনো মিথ্যে বলেনা! তবে কী মানুষ মৃত্যুর মোড়কে মুক্তি খোঁজে? ফর্মোনাইট্রাইলে কালশীটে জিভের দিকে তাকিয়েসেই সংক্রান্ত উপসংহারে আমরা এখনো পৌছতে পারিনি। মানুষ কেবলই চিত্রিত চরিত্র একনিপুণ মহড়ায় করছে নিজেকে দৃশ্যায়ন। সমান্তরাল জীবনের অসংখ্য বিভাজনক্যালকুলাসে ক্লান্ত প্রতিটি নিঃশ্বাসঅমিমাংসীত- কতোটা অযৌক্তিক বেঁচে থাকা আর কতোটা…
ঝুড়ি বটতলায় বসে পুরিয়া সাজাতে সাজাতেজীবনের গল্প করে ওরাঅভিজাত বেডরুমে সুইসাইড নোট লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পরে মেয়েটাবুকের ভেতর নিশ্চিত ঝরঝরে অসুখ নিয়েপ্যাপিরাসের পাতায় পাতায় বর্ণিল মৃত্যু আঁকে কবি।গভীর রাতে শহরগুলো শয্যা হয়ে যায়,নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকেন ঈশ্বর।সুখ কুড়িয়ে বাড়ি ফিরে থু থু ফেলতে ফেলতেবউটাকে বেধড়ক পেটায় বদ্ধ মাতাল।জীবনের মানচিত্র জুড়ে কর্কশ নিশ্বাঃস!ভোর হলেই খুলে যায় পৃথিবীর…
১আত্মার উন্নতি কামনায় জায়নামাজে বসে নীল বাড়িটার কথা মনে পড়েতসবির দানায় পরম আঙুল মীনা করে তোমার শরীরতেলাওয়াত করি তোমারে সহীহ্ উচ্চারণে।ইবাদতে মশগুলবৈশাখের শেষ দিনগুলো তোমারে পেয়েও পায়না দিদার। গভীর মোরাক্বাবায়ফজরের মোনাজাতে ঝরা শিউলীনীল বাড়িটার রঙ ক্রমশ ধূসর। ২ঘরের দাওয়ায় সে জ্বেলে রেখেছে আলোতার মোনাজাতের হাত খসে পড়ছে কান্নায়অবাক সে তসবির, আমার চোখ কেঁপে যায়আল্লাহ কী করে তুমি…
খুব ভালো লাগলো 🤍