ভীতি
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
ট্রেনের ভেতরে এ শহরে প্রেমিক আসেহুইসেলটা চিৎকার করতে করতে চলে যেতে থাকে স্টেশনের দিকেজানালা বন্ধ করে রাখি, ;কোনও হুইসেলে আমি আর জাগাতে চাইনা ভালোবাসা ;তোমাকে। একটা রোমান্টিক বর্ষাকাল জুড়েতোমার স্যাতস্যাতে শরীরে আমি যেনো নিঃসঙ্গ রেইনকোটআমার পর্যাপ্ততা ওইটুকুই। পুইয়ের মাচায় বেড়ে ওঠা দূরত্বে কাটাঘুড়ি জীবন ঢুকে পড়ে ইউক্যালিপটাসের বুকেজিরাফ শূন্যতার দাউদাউ তরুণী দিনস্টেপলার পিনে আটকে থাকে পাঁজর দেয়ালেঅভিমানের জরায়ুতে…
তোমারে ব্যথায় রেখে আমি একাই হাঁটি। শহর দাঁড়ায় থাকে বৃষ্টি মাথায়। কোথাও হয়তো দূরেই বাচ্চারা চিৎকার করে রেইন রেইন গো এওয়ে! আমি কোথায় যাবো ভেবে তোমারে দুঃখ দেই। শহরের দুই একটা পুরুষ আমারে ধাক্কা মেরে চলে যায়। আমি দাঁড়ায় থাকি। বৃষ্টি মাথায় হাঁটতে হাঁটতে দেখি জারুলের থোকা। জারুলের মতোন তুমিও কি এতোটা বেগুনী হও আমার…
আমাকে ভুলে গেছো ভেবেহেমের কপালে চুমু খাওতোমার ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে পুরনো ত্বকের স্বাদ, আমিবিশ্রী এক ব্যথায় ব্যাকুল চেপে ধরোআস্তিনের মতো লেপ্টে থাকে হেমপৌঁছাতে পারেনা গভীরে ।*ভুলে গেছো ভেবে পা বাড়াতেইভূমধ্য সাগর থেকে তোমার দিকে ধেয়ে আসে শিশিরস্মৃতির নিঃসঙ্গ করিডোরেআরও নিবিষ্ট হয়ে ওঠো হেমের শরীরেকাকে খুঁজো তুমি ওভাবে?আষাঢ়ের মিহি সুতো নিপুণ আর্দ্রতায় তোমাকে নিয়ে আসে…
ভাঙা দেয়ালের ফাঁকে আলো এসে পরে খোলস ভাঙতে ভাঙতে ক্লান্ত হাতুড়ি ডানা ভাঙা চোখে চেয়ে থাকে বিহ্বল।গভীর চুমু আঁকার আগেই মুছে যায় হরিয়ালি দুপুর, সম্পর্কের সুদিন।অন্ধকারের মায়ায় উবু হয়ে ঝুলে থাকা দিনগুলোবিবর্ণতার কোল ঘেষে উছলায়বিষণ্নতা মুখর নদীতে নৌকা বায় হাড় জিরজিরে মাঝি।ঠিকানার খোঁজে বিবমিষার সহস্রাব্দ কাটিয়ে দেয় হাড়মাংসের এককফুলস্কেপ কাগজে আলুথালু শব্দেরা ঘুরিয়ে ফিরিয়েজানতে চায়,…
তুমি ছাদ থেকে নেমে গেলে আমার ভীষণ অশান্ত লাগেঘরে ঘুমিয়ে তোমার পুরনো মনযেকোনো সময় তোমাকে তার কাছেই ফিরতে হয়তুমি তাকে কথা দিয়েছো।আমার মাথার উপর বৃত্তাকারে উড়ছে বিধ্বংসী ভাবনাভারী হচ্ছে চোখ বইয়ের পাতায়পাঁচ সিকির মতো অচল দাঁড়িয়ে আমার আঙুল কবিতায়।তোমার নিষ্কল স্টেশনে আমি হঠাৎ ঢুকে পড়া এক অর্বাচীন ট্রেনসে তোমার পুরনো মনতোমাকে তার কাছেই ফিরতে হয়তোমাকে…
যে প্রিয়জন ছেড়ে চলে গেছে খানিক দূরতাকে আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করেতাকে আমি কার কাছে চাইতে পারি? ছেলেবেলায় মা বলতেন “যদি কারো কাছে চাইতেই হয় তবে ঈশ্বরের কাছে চাও”আমি চাইতাই ঈশ্বরের কাছে চাইতে আমাকে দাঁড়াতে হয় নির্দিষ্ট প্রার্থনালয়ের সামনে ঈশ্বর তো সেখানেই থাকেন! অথচ ঈশ্বরকে আমার সব জায়গায় পেতে ইচ্ছে করে! আমি বয়ে বেড়াই প্রিয় এবং ভয়াবহ…