একটা রাত কাটিয়ে যেও শিয়রে
রাতের বুকে মাথা রেখে আমি অন্ধকারকে শুনি।ভেতরে ছটফট করে কর্পোরেট হুলস্থুল,তুমি।মন্থর পায়ে বুকের সিঁড়ি ভাঙা এইসব রাতে বৃষ্টি হয় খুব।
জানালার চোখ নিয়ে যায় দূর
স্মৃতির জলাবদ্ধতা সাঁতরে ফিরতে আমার খুব ক্লান্ত লাগে, জানো!
ভালোবাসার অবাধ্য অন্ধকার এসে জড়ো হয়
এখানে তুমি নেই
তোমার শহর
সময় থেকে অনেক দূর
আমার খুব ঘুমিয়ে পরতে ইচ্ছে করে
অসংখ্য বিস্মৃতির নিরালা ঘরে জেগে থাকা তোমাকে
অন্ধকারের দেয়াল এঁকে মুছে ফেলতে ইচ্ছে করে
অথচ-তুমি গ্রাস করেছো ধমনীতে ছুটে বেড়ানো রক্তস্রোত
দিয়েছো হাড়ের ভেতর জমাট মৃত্যু ছিমছাম পরিপাটি বিশৃংখলা।
একটা রাত কাটিয়ে যেও শিয়রে
দেখবে কী অনাদরে নিঃশ্বাস পরে থাকে পোষা বালিশে
খসে যাওয়া তারার খোসায় চাওয়ার জীবাশ্ম আগলে রাখা দৃশ্যপটকেও
কী অমূলক, অসহায় দেখায়
দেখবে তুমি-
এই অন্ধকারে রোজ মৃত্যু নিয়ে দাঁড়িয়েছি আমি
দরোজায় হাইড এন্ড সী খেলায় নিজের ভেতর ডুবে গেছে যে
তাকে কোনোদিন ডাকেনি কেউ
তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে মৃণ্ময় সুখ
তোমার জন্য লিখে রেখেছে সে চিরহরিৎ জীবন
পেতে দিয়েছে পর্নমোচি বুক নিরাকার
তার হৃদপিন্ড থেকেই খসে খসে পরেছে প্রতিরোধের প্লাস্টার
তোমাকে ভালোবেসে আজ তার ভীষণ অসুখ
তুমি এসে তাকে দেখে যেও একবার।
খুব তৃষ্ণা পেলে দু’হাতের আঁজলা ভরে তোমাকে তুলে নেবো ঠোঁটে, ভ্রুণ ভেঙে শৈল্পিক কারুকার্যে
গহন উদার নিসর্গে তোমাকে দেবো হঠাৎ বিকেল
মাথা থেকে পায়ের নখ জীভের তুলি আঁকবে প্রেমের শরীর।
যেখানে এতোকাল খেলেছেন ঈশ্বর
রহস্যময় ঘুলঘুলিতে আমরা হাতড়ে ফিরেছি অন্ধকারের উর্বর জমি
আমাদের দ্রাঘিমাংশের ক্ষয়ে যাওয়া অলীক আলো
বাতাসের মালহারে উদ্বেলিত গোপন বিষাদের রীড অসুখের কোটরে তরতর করে বিস্ময়ের দ্যোতনায় নিজেকে এলিয়ে দিয়েছে রাত্রির সিড়িপথ।
বিশ্বাস নামক ছেদ টেনে বিশ্বস্ত আস্থায়
সমুদ্রের কোলাহলে তুমি দিতে পারো আমাকে এক ঢোক নিউরো টক্সিন,ধুতরা বীজ
অপসংস্কারে বিকল জাহাজ তিনশত শতাব্দী
রোঁয়াবী ডাহুক ভাঙা প্রপেলার লিলিতের অভিশপ্ত ডানা
লিখে দিও-
ইটস দ্য রোড হোয়ার অল লাইটস আর স্টপ ডাউন
ইটস দ্য পাথ হোয়ার শ্যাডোজ আর অল অ্যালোন!