- Onuvob Ahmed
- March 22, 2023
- কবিতা
পাখিদের দূরত্ব
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে। শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়। এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে। শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়। এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর
অনেক স্রোতের পর এখানে স্থিতধী হাওয়াদুরন্ত সেসব ঢেউ পড়ে আছে শৈশবের দাওয়ায়এখন বেলা অস্তগামী, ফিকে হয়ে আসা রঙেদৈর্ঘ্য প্রস্থ বেড়েছে জামার,বেড়েছে দূরত্ব আনন্দবেলার এখনো এখানে
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছোএকদা ভালোবেসেছিলে –যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয় …আর আমি আছি এখানেচারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাতযার শরীর থেকে উড়ে
চারপাশে কাচের দেয়াল তুলে দিয়ে স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছিনিজেকে বন্দী করতে করতে একবিন্দু হয়ে গেছিটের পাইনি..জ্বরের ঘোরে একটা হাত খুঁজতে গিয়েপাশের ঘর থেকে ভেসে এসেছে মর্গের
একটা রাত কাটিয়ে যেও শিয়রেদেখবে কী অনাদরে নিঃশ্বাস পরে থাকে পোষা বালিশেখসে যাওয়া তারার খোসায় চাওয়ার জীবাশ্ম আগলে রাখা দৃশ্যপটকেওকী অমূলক, অসহায় দেখায়দেখবে তুমি-এই অন্ধকারে
খুব কাছ ঘেষে দাঁড়ালে আজও হাত কাঁপে অথচ মুছে গেছি কতোদিনভীষণ আগুন জ্বেলেদুজনে আলগোছে, দু’দিকে।এখন ভালোবাসার রাত নামে হাভাতে অন্ধকারে ক্ষুধার্ত শিশুর পেটেপাশ দিয়ে হাঁকিয়ে যায়
শহরে খুব বৃষ্টি নামলে আটকা পড়ে যাই তোমার ভেতরভিজে একসা বর্ষাতিতে যেতে থাকি তোমার দিকে। তুুমি নেই, তবু শতাব্দীর তোরঙ্গ পেটরায় কিছু প্রেম এখনোকিছু থেতলে গেছে
ঝুড়ি বটতলায় বসে পুরিয়া সাজাতে সাজাতেজীবনের গল্প করে ওরাঅভিজাত বেডরুমে সুইসাইড নোট লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পরে মেয়েটাবুকের ভেতর নিশ্চিত ঝরঝরে অসুখ নিয়েপ্যাপিরাসের পাতায় পাতায় বর্ণিল
যে ছায়া তুমি পুতে দিয়েছো অন্য কারও বুকেধরো, কোনো একদিন সে আর বাড়ি ফিরলোনা।তুমি খুঁজতে লাগলে ব্লেড, স্লীপিং পিল, উচু কোনও দালান।জেনো, এমন অনেকদিন আমারও
রাতের মসৃণ শরীরে পাথরের মতো চেপে থাকা স্তব্ধতা আমাকে টুকরো টুকরো করে উল্লাস করেদিন হলেই পুরনো অস্বস্তির ক্ষুরধার নখ আঁচড়ে আঁচড়ে ছিন্নভিন্ন করতে থাকে মনোযোগ।এসব একই