ভীতি
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে মার্বেলের মতো ছুঁড়ে দিয়েছি বেলাদেবদারুর গায়ে নেমে এলে কিন্নর বিকেলচিবুককে বলেছি ভয় পেওনাঅতোটা নিঃসঙ্গতা তোমাকে ছোঁবেনা।….আর তুমি আমাকে বাজেয়াপ্ত করেপিয়ালের বনে গাঢ় শুয়ে আছো অনভিপ্রেত ঘুমেআমার সমস্ত ভালোবাসা গলাকাটা মোরগের মতো কাতরাচ্ছে তোমারই সিথানে যেনো ব্যাকুল কোনো কবিতাদৃশ্যআলোড়ন তুলে নিভে যাবে নির্লিপ্ত, নীরব শব্দের কোঁচকানো ঢেউ, পাশেই ক্লান্ত টঙ্কারনিষ্প্রভ আয়ুরেখা থেকে উঠে আসাএকটা সদাব্যস্ত দীর্ঘশ্বাসে জেনেছি …
খুব তৃষ্ণা পেলে দু’হাতের আঁজলা ভরে তোমাকে তুলে নেবো ঠোঁটে, ভ্রুণ ভেঙে শৈল্পিক কারুকার্যেগহন উদার নিসর্গে তোমাকে দেবো হঠাৎ বিকেলমাথা থেকে পায়ের নখ জীভের তুলি আঁকবে প্রেমের শরীর।যেখানে এতোকাল খেলেছেন ঈশ্বররহস্যময় ঘুলঘুলিতে আমরা হাতড়ে ফিরেছি অন্ধকারের উর্বর জমিআমাদের দ্রাঘিমাংশের ক্ষয়ে যাওয়া অলীক আলোবাতাসের মালহারে উদ্বেলিত গোপন বিষাদের রীড অসুখের কোটরে তরতর করে বিস্ময়ের দ্যোতনায় নিজেকে…
আমিও কুকুর। তুমি ডাকলে আজও দরোজায় এসে দাড়াই তুমি ডাকলে এতোসব দুর্যোগের ভেতর যেনো আজও আমার উৎসব আছে যেনো আমিও রুঢ়তা ভুলে জীভ বের করে দাঁড়িয়ে থাকা সহজ কলমীলতা তুমি ডাকলে আমি আমার ভেতরে আমি ভেজা বিস্কুটের মতো গলে গলে পড়া অথচ কতবার ফিরিয়ে দিয়েছো ডেকে বলেছো, দুঃখটা সেরে গেছে দরোজাটা ওদিকে কতোবার তোমার নিষ্পাপ…
এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার তুমি ঘিরা থাইকো আমারেছেয়ে যেয়ো ঘাস, ভাঁটফুলের দলএইখানে, আমি ফিরিবো তোমাদের কিনারে।পরথম যৌবনে যার ঘেরাণ আমি তুইলা নিছি নাকের নোলকেযার বুকের ধারে অঘোরে ঘুমাইছে আমার পত্যেক রাইততার বুকের ভিত্রে নিজেরে থুয়েআমি ফিরিবোতার বুকের ধার ছাড়া ক্যামনে ঘুমাবে আমার রাইত?তুমি এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজর।আমার সন্তানের…
তোমারে ব্যথায় রেখে আমি একাই হাঁটি। শহর দাঁড়ায় থাকে বৃষ্টি মাথায়। কোথাও হয়তো দূরেই বাচ্চারা চিৎকার করে রেইন রেইন গো এওয়ে! আমি কোথায় যাবো ভেবে তোমারে দুঃখ দেই। শহরের দুই একটা পুরুষ আমারে ধাক্কা মেরে চলে যায়। আমি দাঁড়ায় থাকি। বৃষ্টি মাথায় হাঁটতে হাঁটতে দেখি জারুলের থোকা। জারুলের মতোন তুমিও কি এতোটা বেগুনী হও আমার…
সুবিধাভোগী ধারালো দাঁত ছিবড়ে খায় মুরগির ঠ্যাং, রাশিয়ান ভদকাএতো রোশনাই! এতো আলোয়লকলকে জীভ কুকুরের মতো চাটে লোভের চিবুকের তিলবিকিয়ে যায় মুন্ডুহীন কঙ্কালআহা! কী মোহময়ক্ষমতার উদ্ধত বুকএনাকোন্ডার মতো মুখে পুরে আস্তে আস্তে গ্রাসআরাম করে ভীষণ ধীরে ধীরে ধীরে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি অনেক কিছু করবার আছে আপনার কী কিছু দেবার আছে?“শোন কালু তোর বউটা তো দারুণ সুন্দরীযা হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলাম…