ভীতি
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
আমার যে বন্ধুটি আত্মহত্যা করেছিলোসে বলতো-কেউ কেউ মানুষ হয়! মানুষগুলো ঘুড়ির মতোসুতো কেটে গেলেই মুখ থুবড়ে পড়ে হারিয়ে যায়ফানুসের মতো উড়ে যায়,ফুরিয়ে যায়! আমার সেই বন্ধুটি সুতো কাটা ঘুড়ির মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিলোহারিয়ে গিয়েছিলো,ফানুসের মতো উড়ে গিয়েছিলো, ফুরিয়ে গিয়েছিলো। .সেদিন সবাই আফসোস করতে করতে বলেছিলো আহা! শেষে কিনা নিজেই কেড়ে নিলো নিজের প্রাণকেবল আমিই জেনেছিলাম জীবন কেড়ে…
আমি এবং পৃথিবীর মাঝখানে দেয়াল হলে তুমি তোমাকে অস্বীকার করা গেলে ভেঙে ফেলা যেতো দেয়ালযাওয়া যেতো পৃথিবীর খুব কাছাকাছি নিজেকে অনিশ্চিত বাজির দিকে ছুঁড়ে দিয়ে অপেক্ষা এখন কেবল মৃত্যুরসম্ভবত মৃত্যুই সেই অস্বীকার! নিকোটিন শুষে পঁচে যাওয়া ফুসফুস আর হৃদপিন্ডের ভগ্নাংশ নিয়েআবাদ হওয়া সময়কে কিছুতেই জীবন বলা যায়নাতবুও রোজ দাঁড়াতে হয় তার মুখোমুখিডাকতে হয় প্রিয় নাম, জীবন!
ঝুড়ি বটতলায় বসে পুরিয়া সাজাতে সাজাতেজীবনের গল্প করে ওরাঅভিজাত বেডরুমে সুইসাইড নোট লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পরে মেয়েটাবুকের ভেতর নিশ্চিত ঝরঝরে অসুখ নিয়েপ্যাপিরাসের পাতায় পাতায় বর্ণিল মৃত্যু আঁকে কবি।গভীর রাতে শহরগুলো শয্যা হয়ে যায়,নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকেন ঈশ্বর।সুখ কুড়িয়ে বাড়ি ফিরে থু থু ফেলতে ফেলতেবউটাকে বেধড়ক পেটায় বদ্ধ মাতাল।জীবনের মানচিত্র জুড়ে কর্কশ নিশ্বাঃস!ভোর হলেই খুলে যায় পৃথিবীর…
গোপনে, অ-সুখে চাঁদের উনুনে পুড়ছে কাম ও প্রেমের খড়ি।একটা চিঠিতেও তোমাকে লিখতে পারিনিকত কাছাকাছি থাকি, আষ্টেপৃষ্ঠেদেখাদেখি নেইতবুবাঁকা বিদ্রুপের মতো তোমার বেআব্রু দৃষ্টিবোতাম এঁটে নিষিদ্ধ করে দেয় আকাশের রৌদ্রস্নান।যতবার মুখ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছি অন্ধকারের রেণুঅনাদায়ী ধারের মতো ফিরে এসেছোফিরে এসেছোবারবারবুকের বিপন্ন পরাগেউৎস থেকে একা বোধনের ঢঙে।গাছের শরীরে পাতার কম্পমান ধ্বনির ভিড়েনিঃসঙ্গ কোকিল, খুঁজি কাকবাসা।তুমি এসব…
খুব তৃষ্ণা পেলে দু’হাতের আঁজলা ভরে তোমাকে তুলে নেবো ঠোঁটে, ভ্রুণ ভেঙে শৈল্পিক কারুকার্যেগহন উদার নিসর্গে তোমাকে দেবো হঠাৎ বিকেলমাথা থেকে পায়ের নখ জীভের তুলি আঁকবে প্রেমের শরীর।যেখানে এতোকাল খেলেছেন ঈশ্বররহস্যময় ঘুলঘুলিতে আমরা হাতড়ে ফিরেছি অন্ধকারের উর্বর জমিআমাদের দ্রাঘিমাংশের ক্ষয়ে যাওয়া অলীক আলোবাতাসের মালহারে উদ্বেলিত গোপন বিষাদের রীড অসুখের কোটরে তরতর করে বিস্ময়ের দ্যোতনায় নিজেকে…
কতোটা অগোচর ছিলো নির্লিপ্ত এই ফিরে আসাজানে অরণ্য বিষাদ মেখে উড়ে যাওয়া পাখির ডানা। ফেলে আসা ছায়ার শরীরে তুমি গোটা গোটা অক্ষরে লিখে চলেছো নীরব প্রত্যাহার তোমার অনভ্যস্ত আলাপচারিতার দিকে তাকিয়ে ভাবিঅলীন্দের দেয়ালে আমিই অলঙ্কৃত করেছি তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ পোর্ট্রেট।