ভীতি
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
১প্রলেতারিয়েত হাঙরের দাঁতে ঘুমিয়ে পড়েছে শরৎফ্যান্টাসি জুড়ে কালো রঙের মাইম, জোকার মঞ্চঅস্তিত্বের ওপর ঝুঁকে আধোলীনসূর্যাস্তের দিকে তাকিয়ে থাকা অন্ধকারপ্রিয় জানালাতোমার ভঙ্গিমা এড়িয়েক্ষুধা আমাকে ফেরি করে পৃথিবীময়।২এখানে আধোছায়ামাংসের মর্মরে ভাঙার আওয়াজধাতুফলকের বিচূর্ণ রঙে উড়ে যাচ্ছিকুহকে, অন্তরালে পালকের নরম কাটছে দাঘ্রিমাতোমাদের শহরে আমার স্বাধীনতা মিথের পতাকা। ৩আগুন আর পোড়াচ্ছেনাগড়ে নিচ্ছে কঠিনএখন সকল আঘাতই ঝঙ্কারতথাপি আমার শরীরে বিরহ খোদাই…
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া পথিকের মতো লাগছে তাকেসময়ের কড়াল ঝাপ্টায় অবসন্ন আমার কী উচিৎ তার পাশে খানিকক্ষণ বসাআলতো করে তার হাতে হাত রাখা আমি ভাবছিআটপৌঢ়ে শাড়ির মতো দীর্ঘ ক্লান্তিকর ভাবনাঅথচ আমার ভাবা উচিৎস্বচ্ছ জলের মতো টলটলে ভাবনাজঞ্জালহীন নিরেট কোনো ভাবনা আমি এগুচ্ছি গুটিগুটি পায়েপথের উপর শুয়ে থাকা মৃত পাতার শরীরদুঃখ দুঃখ চোখে তাকাচ্ছে আমার দিকেধানক্ষেতের হুল্লোড়ে…
এই বাড়িটা ঘিরে শীতঘুমের ফিনফিনে নির্জনতা। কয়েকটা আলাভোলা পাখি, হাসু ‘বুর থালার বৈপ্লবিক ঝনঝনে মোহ ভাঙে, নির্জনতা না।গেটের মুখে প্রেমহীন ডাকবাক্সে সম্পর্কের রাঙতা মোড়া অভিযোগের পার্সেল আসে, খুললেই মাথা দোলায় সাপরঙা দুঃখ। অথচ দুঃখকে বন্দী করে রাখবার মতো যথেষ্ট কারাগার আমার নেই,সাধ্য নেই পার্সেলদাতাকে ফেরাবার।সারাদিন জড়িয়ে থাকি কতোসব জঞ্জাল, গৃহস্থালির আঁশটে চাদর।হাসফাস লাগে। কড়িকাঠ থেকে…
এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার তুমি ঘিরা থাইকো আমারেছেয়ে যেয়ো ঘাস, ভাঁটফুলের দলএইখানে, আমি ফিরিবো তোমাদের কিনারে।পরথম যৌবনে যার ঘেরাণ আমি তুইলা নিছি নাকের নোলকেযার বুকের ধারে অঘোরে ঘুমাইছে আমার পত্যেক রাইততার বুকের ভিত্রে নিজেরে থুয়েআমি ফিরিবোতার বুকের ধার ছাড়া ক্যামনে ঘুমাবে আমার রাইত?তুমি এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজর।আমার সন্তানের…
সভাঘরের এককোণে আপনার সবচেয়ে সুন্দর ছবিটা টানিয়ে আলোচনা হচ্ছেকিছুক্ষণ আগে আপনাকে আবৃত্তি করেছেন একজন সুন্দরী রমণীযার চিবুকে একটি গাঢ় তিল আছেতিলটা সম্ভবত আপনার জীবনের মতো ক্ষুদ্র এবং তার সৌন্দর্য কবিতার মতো বিস্তৃতআপনি শুনতে পাচ্ছেন?ওরা বলছেআপনার কাগজে উড়ে বেড়াতো ঝাক ঝাক সোনালী পাখিশুনেছি আপনার প্রেমিকার কিছু স্বপ্ন ছিলোবেঁচে থাকার দিনে আপনার পায়ের জুতোটা ছেঁড়া ছিলো! উচ্চাংগ…
তোমাকে ভালোবেসে এখানে দাঁড়িয়ে থাকি হতবুদ্ধি বইয়ের পাতার মতো অপেক্ষা করি আঙুলের এই বুঝি এলে কিছু ধুলো আলগোছে সরিয়ে অপেক্ষায়আমাকে আবৃত্তি করে অপ্রকৃতস্থ যৌবন মাথার ভেতর ভীষণ হৈ চৈ লিখে ফেলি শিহরিত রাত, আমাদের সন্তানেদের ঘুমন্ত মুখতাপহীন বুকে শতশত আগ্নেয়গিরির উত্তাপ…. অনন্ত ইথারে অনর্গলতোমাকে ঠিক তেমনই ভালোবাসিযেমন বেসেছি ঝরা জলপাই পাতার লালশহুরে হাওয়ার বিজন অন্ধকার তোমাকে…