ভীতি
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
ব্ল্যাঙ্ককলে উড়ে আসা ভীতির মতো জাপটে রেখেছো
একদা ভালোবেসেছিলে –
যতোটা বাসলে নিঃশ্বাসও বিষাক্ত হয়
…আর আমি আছি এখানে
চারকৌনো টেবিলে বেড়ে রালহা জড়ানো ভাত
যার শরীর থেকে উড়ে যাচ্ছে উত্তাপ
বড় বিষাদ নিয়ে আমাকে গিলছে সময়।
এখানে কথা হবে নীরবেআচমকা তোমার দরোজায় দাঁড়াবে বিস্ময়অপ্রস্তুত তোমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ফিরে যাবে যেতার আসলে কোথাও ফেরা হবেনা!পাখি কী কখনো পেরেছে আকাশকে করতে পার?যদিও সময়টা অনিশ্চিততবুও মুগ্ধ তুমি সেভাবেই দাঁড়িয়ে রবে অনন্তকালস্মৃতির পাতায় কিংবা প্রলম্বিত অপেক্ষায়।
এঁটো থালাবাটির পাশে পরে থাকে আকাশমাছির মত ভনভন করা দিনভাতের থালায় দুপুর মাখে বিস্বাদসন্ধ্যার দানে নিলাম হয় তোমার চোখআমার হেরে যাওয়া দান!বাড়ি ফেরার মুখে ঝুলে থাকে অবসাদ।রাতগুলো চুরি হয়ে যায়পাহাড়ের বুক থেকেকিন্নর কাঁদে ঝর্ণার পাথুরে চোখজেগে থাকে সমুদ্র, অনন্তকাল।নিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়েআরও একবার ভুলে যায়ডাঙায় উঠা মাছের ছটফট থেকে যায় গভীরে।ফেলে যাওয়া চোখ কুড়ায় বুড়ো প্লাটফর্মভীড়ের…
খুব কাছ ঘেষে দাঁড়ালে আজও হাত কাঁপে অথচ মুছে গেছি কতোদিনভীষণ আগুন জ্বেলেদুজনে আলগোছে, দু’দিকে।এখন ভালোবাসার রাত নামে হাভাতে অন্ধকারে ক্ষুধার্ত শিশুর পেটেপাশ দিয়ে হাঁকিয়ে যায় লাস্ট লোকাল, কোলাহল, মানুষতোমার জানালার শীতার্ত ঢাকনা খুলে ওম খুঁজে নক্ষত্রের ছায়াআমাদের কথা ভেবে চির অসুখী প্রেমিকার বুকের খাঁজে জমে শ্যাওলানাভীর চারপাশে উল্লাসে ফেটে পরে ক্ষুধার্ত শিশুর হাহাকারউরুর বৃত্তে পাক…
এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার তুমি ঘিরা থাইকো আমারেছেয়ে যেয়ো ঘাস, ভাঁটফুলের দলএইখানে, আমি ফিরিবো তোমাদের কিনারে।পরথম যৌবনে যার ঘেরাণ আমি তুইলা নিছি নাকের নোলকেযার বুকের ধারে অঘোরে ঘুমাইছে আমার পত্যেক রাইততার বুকের ভিত্রে নিজেরে থুয়েআমি ফিরিবোতার বুকের ধার ছাড়া ক্যামনে ঘুমাবে আমার রাইত?তুমি এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজর।আমার সন্তানের…
গভীরেতোমাকে শুনবো বলেনির্জনতার পাথর সরাতে সরাতে পেরিয়ে যাই রাতহয়তো তোমাকেও?অন্বয় অন্ধকারের ভেতর কল্পতরুর শিকড় ছড়িয়েতোমার চোখ খোঁজে কাকে?কার শরীরেপেতে দাও ভাবনার নিনাদ আঁচল?কোথায় মেলে একটা পাখি জন্ম?কিছু প্রশ্ন ডিঙিয়েএকদিন ঠিক বসন্ত হবোবেড়ে উঠবে তুমিআবার শুনতে পাবো তোমায়সামুদ্রিক হাওয়া জানান দেবে খুব কাছেই সমুদ্র;নির্জন কোনো দ্বীপডানার মলাটে আকাশ লিখবে বানভাসী উড়ান!একদিন ঠিক বসন্ত হবোবেড়ে উঠবে তুমিসেদিন…
তুমি ছাদ থেকে নেমে গেলে আমার ভীষণ অশান্ত লাগেঘরে ঘুমিয়ে তোমার পুরনো মনযেকোনো সময় তোমাকে তার কাছেই ফিরতে হয়তুমি তাকে কথা দিয়েছো।আমার মাথার উপর বৃত্তাকারে উড়ছে বিধ্বংসী ভাবনাভারী হচ্ছে চোখ বইয়ের পাতায়পাঁচ সিকির মতো অচল দাঁড়িয়ে আমার আঙুল কবিতায়।তোমার নিষ্কল স্টেশনে আমি হঠাৎ ঢুকে পড়া এক অর্বাচীন ট্রেনসে তোমার পুরনো মনতোমাকে তার কাছেই ফিরতে হয়তোমাকে…