পাখিদের দূরত্ব
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
দূরত্ব হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে একটা পাখি ওড়ে।
শিস দেয়, ডানা ঝাপ্টায়, ছটফটায়।
এই যে সকাল, সকালের গায়ে লেগে থাকা আদর আদর ঘুম এটুকুর পর মানুষ বড্ড একা।
প্রাক্তণ প্রেমিকেরা সাধারণত কখনো প্রিয় হয়নাস্মৃতি ঘাটলেই মনে হয় কোনো লাশকাটা ঘরে ঢুকে পড়েছিযেখানে ছিন্নভিন্ন বিভৎস দেহ নিয়ে পড়ে আছে ভালোবাসার শবযেখানে ঠান্ডা নীরবতা আর মৃত মৃত গন্ধে আটকে আসে দম অথচ সে আমার ভীষণ প্রিয়শীত সকালে জড়ানো ওমওম চাদরের মতো প্রিয়তার পাতা উল্টালে আজও সুবাসিত হয়ে ওঠে আমার বুক। এখনও মাঝে মাঝে আমাদের দেখা…
১ জলের শরীর খুলে বেরিয়ে আসা রূপালী মাছতোমার কাছে পরাস্ত হয়ে কাঁদে আমার শিকারী পন্থা। ২ এই অবোধ কান্নার দিনে আমাকে দিতে পারো মুঠোভরে ভাঁটফুল?এসে দাঁড়াও ইচ্ছের কাছেতোমাকে গাইবে বৃষ্টি শেষের দুলতে থাকা হাওয়ামানুষের অশেষ ক্লান্তিআমাকে এঁকে ফেলার আগেতোমার চিবুক ছোঁয়াও ডুবগামী রূপালী মাছ।
তোমার ব্যথার পাশে আমি এক গভীর রমণী উড্ডীন তারাদের ছলছলশহর থেকে দূরে গোপন আরোগ্যালয়, সারি সারি শুশ্রুষাশহরের হাওয়ায় দোল খাওয়া নিঃস্ব চুলে পরম আঙুল।তোমার গোপনে আমি এক গহ্বর পিয়ানোনিঃশব্দের রীডে তোমার ভেতর বাজি দিনমানতোমাকে বাজাই দ্রোহ যাতনায়।তোমার বুকের পাশে আমি ছলাৎছল মাছেদের ঋতুকালজলের ঝিরিঝিরি উদ্বেগতোমার ঠোঁটের তীরবর্তী ল্যান্ডস্কেপে সুখের বালিয়াড়ি ঢেউতোমার স্পর্শে আমি সদ্য নারীঢেউয়ে…
বিশীর্ণ হয়ে আসি শব্দে যতটা পারি যেনো ভাঙা চালার পাশে নুঁয়েছে ভোরতোমার মুখ উত্তরের হাওয়া, আকন্ঠ রূপে ডুবে যাওয়া চোখের সাঁতার জানা নেই জানি, সত্যের এপাড়ে প্রবল কবিতা মিথ্যা বলে গেছে শত ঝুঁকে আছে অন্তরীণ তোমার ভেতর সারাদিন বাজছে যে সুর তার আরোহণ বেয়ে নেমে আসি তোমার শরীরে লীন হয়ে আসি, ভাবি তীর্থঙ্কর চলে যাব,…
রাতের বুকে মাথা রেখে আমি অন্ধকারকে শুনি।ভেতরে ছটফট করে কর্পোরেট হুলস্থুল,তুমি।মন্থর পায়ে বুকের সিঁড়ি ভাঙা এইসব রাতে বৃষ্টি হয় খুব।জানালার চোখ নিয়ে যায় দূরস্মৃতির জলাবদ্ধতা সাঁতরে ফিরতে আমার খুব ক্লান্ত লাগে, জানো!ভালোবাসার অবাধ্য অন্ধকার এসে জড়ো হয়এখানে তুমি নেইতোমার শহরসময় থেকে অনেক দূরআমার খুব ঘুমিয়ে পরতে ইচ্ছে করেঅসংখ্য বিস্মৃতির নিরালা ঘরে জেগে থাকা তোমাকেঅন্ধকারের দেয়াল…
তোমাকে পান্থশালা ভেবে ঢুকেছিলো যে তুমি তার মাথাটাকে চিবিয়ে খেলে। অতোটা অনৈতিক না হলেও পারতে,প্রয়োজন ছিলোনা অবতারণার অনর্থক একটি শব্দের । হৃদপিন্ডের দাঁতগুলো নেকড়ের মতো, হাতগুলো শিকারী বাঘ। যখন তুমি তার সবচেয়ে নরম অংশটাকে চিবিয়ে খাচ্ছিলে এক বৃদ্ধা ক্যারল গাইছিলেন ঈশ্বর কুটিরে।ধর্মাবতাররা জানতেন না পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চোখ ছিলো দীনহীন কুড়েঘরেরএকজোড়া মানুষকে কখন আগুনের মতো…
খুব ভালো লাগলো 🤍