রূপ
সে পুরুষ
তার পেশীর দৃঢ়তা, যেনো কোনও দ্বীপ জাগলো আড়মোড়া ভেঙে
যেনো কোনও আলো জলাধারে
পানকৌড়ি হয়ে আমি ডুব মারি সে সুন্দরে।
সে চোখ তাকিয়ে
আমার আঙুল সুর তুলে নেয় একতারায়
তুমি দেখোনি তাকে
তার শরীর তেপান্তরের মাঠ
আমি সারারাত জেগে বাঁশি বাজাই।
সে পুরুষ
তার পেশীর দৃঢ়তা, যেনো কোনও দ্বীপ জাগলো আড়মোড়া ভেঙে
যেনো কোনও আলো জলাধারে
পানকৌড়ি হয়ে আমি ডুব মারি সে সুন্দরে।
সে চোখ তাকিয়ে
আমার আঙুল সুর তুলে নেয় একতারায়
তুমি দেখোনি তাকে
তার শরীর তেপান্তরের মাঠ
আমি সারারাত জেগে বাঁশি বাজাই।
কুপির আলোয় নাকছাবিডার দিকে চাইয়া থাকিরাইত বাড়নের লগে লগে কইলজার ভিত্রে তুমি জিওল মাছের লাহান উছলাওআমারে এমুনতরো এক্লা লাগে ক্যান?বড় পাগল পাগল লাগেবুকের ভিত্রে উছলায় তিন পরাণের গাঙরাইতগুলা রাক্ষসের লাহান আমারে খায়া ফালাইতে চায়!আন্ধারের লগে কথা কইতে কইতেতুমার কিচ্ছা হুনাইতে হুনাইতেআমি খালি উতলা হইআসমানের কাঁন্দনের লগে আমিও কাঁন্দিনিজেরে নিজেই কই-আমার একখান চাওয়া আছিলো, হুনবা?একটা জীবন…
আমাদের মাঝে যে সম্পর্ক তার নাম প্রেম ছিলোনা কখনোছিলোনা শর্ত সাপেক্ষে নুয়ে পড়া মুমূর্ষ কোনো সম্পর্কছিলো অনাবিষ্কৃত পৃথিবীকে আবিষ্কার কোরবার যাত্রা!ছিলো আস্তাকুড়ের ভেতর নিজেকে নতুন কোরে উন্মোচন কোরবার সুখ! যে প্রেম দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রেখে কাতর কোরে সে প্রেমকে আর বিশ্বাস করিনা আমি। বিশ্বাস করি সেই তৃষ্ণা যা নিয়ে আসে খুব কাছাকাছি, পাশাপাশি। তাইআমাকে ছুঁতে চেয়ে বাড়িয়ে…
আমার যে বন্ধুটি আত্মহত্যা করেছিলোসে বলতো-কেউ কেউ মানুষ হয়! মানুষগুলো ঘুড়ির মতোসুতো কেটে গেলেই মুখ থুবড়ে পড়ে হারিয়ে যায়ফানুসের মতো উড়ে যায়,ফুরিয়ে যায়! আমার সেই বন্ধুটি সুতো কাটা ঘুড়ির মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিলোহারিয়ে গিয়েছিলো,ফানুসের মতো উড়ে গিয়েছিলো, ফুরিয়ে গিয়েছিলো। .সেদিন সবাই আফসোস করতে করতে বলেছিলো আহা! শেষে কিনা নিজেই কেড়ে নিলো নিজের প্রাণকেবল আমিই জেনেছিলাম জীবন কেড়ে…
প্রিয়তমারাস্তায় পড়ে থাকা আমাকে তুমিমাতাল বলে গালি দিয়ো না অভিজাত মাতালরা ওভাবে পড়ে থাকেনাতারা খুঁজে নিতে পারে আঁকাবাঁকা শরীরের ভাঁজড্রাইভার ঠিক সময়ে তাদের পৌছে দিয়ে আসে বাড়ি বরং আমাকে শুড়িখানায় নিমজ্জিত অ্যালকোহল থেকে বুকের ভেতর তুলে নাওক্ষততে হলুদের প্রলেপ লাগিয়ে মাথায় মমতায় রাখো হাতহাহাকারের পাশে কয়েকটা রাত জেগে কাটাওদেখো আমিও কেমন প্রেমিক হয়ে উঠি ফুটপাতে উড়া…
এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার তুমি ঘিরা থাইকো আমারেছেয়ে যেয়ো ঘাস, ভাঁটফুলের দলএইখানে, আমি ফিরিবো তোমাদের কিনারে।পরথম যৌবনে যার ঘেরাণ আমি তুইলা নিছি নাকের নোলকেযার বুকের ধারে অঘোরে ঘুমাইছে আমার পত্যেক রাইততার বুকের ভিত্রে নিজেরে থুয়েআমি ফিরিবোতার বুকের ধার ছাড়া ক্যামনে ঘুমাবে আমার রাইত?তুমি এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজর।আমার সন্তানের…
এখানে কথা হবে নীরবেআচমকা তোমার দরোজায় দাঁড়াবে বিস্ময়অপ্রস্তুত তোমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ফিরে যাবে যেতার আসলে কোথাও ফেরা হবেনা!পাখি কী কখনো পেরেছে আকাশকে করতে পার?যদিও সময়টা অনিশ্চিততবুও মুগ্ধ তুমি সেভাবেই দাঁড়িয়ে রবে অনন্তকালস্মৃতির পাতায় কিংবা প্রলম্বিত অপেক্ষায়।