- Onuvob Ahmed
- March 21, 2023
- কবিতা
মুখ
কাটাতাঁরে ঝুলে থাকা মৃত চড়াইটাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্তেআসলে এর পরই মীমাংসীত হবে আরও একটা হত্যা অথবা আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক রিপোর্টে ডাক্তার লিখলেন- কোথাও
কাটাতাঁরে ঝুলে থাকা মৃত চড়াইটাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্তেআসলে এর পরই মীমাংসীত হবে আরও একটা হত্যা অথবা আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক রিপোর্টে ডাক্তার লিখলেন- কোথাও
আমাকে ভুলে গেছো ভেবেহেমের কপালে চুমু খাওতোমার ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে পুরনো ত্বকের স্বাদ, আমিবিশ্রী এক ব্যথায় ব্যাকুল চেপে ধরোআস্তিনের মতো লেপ্টে থাকে হেমপৌঁছাতে পারেনা
সভাঘরের এককোণে আপনার সবচেয়ে সুন্দর ছবিটা টানিয়ে আলোচনা হচ্ছেকিছুক্ষণ আগে আপনাকে আবৃত্তি করেছেন একজন সুন্দরী রমণীযার চিবুকে একটি গাঢ় তিল আছেতিলটা সম্ভবত আপনার জীবনের মতো
রাতের বুকে মাথা রেখে আমি অন্ধকারকে শুনি।ভেতরে ছটফট করে কর্পোরেট হুলস্থুল,তুমি।মন্থর পায়ে বুকের সিঁড়ি ভাঙা এইসব রাতে বৃষ্টি হয় খুব।জানালার চোখ নিয়ে যায় দূরস্মৃতির জলাবদ্ধতা
এ শহরের গলিতে গলিতে গোঙায় সদ্যজন্মা প্রেমকর্পোরেট আলিঙ্গনে হোঁচট খায় বুক।তোমাদের রঙচঙা সো কলড অাভিজাত্য ঢেকে দেয় জীবনের সহজ স্বাভাবিক কৈশোরএখানে বিস্মৃতির সীমানায় হা-হুতাশে ভারী
কতোটা অগোচর ছিলো নির্লিপ্ত এই ফিরে আসাজানে অরণ্য বিষাদ মেখে উড়ে যাওয়া পাখির ডানা। ফেলে আসা ছায়ার শরীরে তুমি গোটা গোটা অক্ষরে লিখে চলেছো নীরব
যে প্রিয়জন ছেড়ে চলে গেছে খানিক দূরতাকে আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করেতাকে আমি কার কাছে চাইতে পারি? ছেলেবেলায় মা বলতেন “যদি কারো কাছে চাইতেই হয়
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া পথিকের মতো লাগছে তাকেসময়ের কড়াল ঝাপ্টায় অবসন্ন আমার কী উচিৎ তার পাশে খানিকক্ষণ বসাআলতো করে তার হাতে হাত রাখা আমি ভাবছিআটপৌঢ়ে শাড়ির
এখানে কথা হবে নীরবেআচমকা তোমার দরোজায় দাঁড়াবে বিস্ময়অপ্রস্তুত তোমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ফিরে যাবে যেতার আসলে কোথাও ফেরা হবেনা!পাখি কী কখনো পেরেছে আকাশকে করতে পার?যদিও
তোমায় নিয়ে লেখা যেতে পারতো কী কোনো কবিতা?সম্ভবত পারতো-বিষাদের কারুকার্যে ঘনায়মান কোনো সন্ধ্যা।অথচ লেখা হলোনাপ্রত্যেকটা শুরুই শেষ হলো। এখন তুমি মানেই হৃদয়ের আর্কাইভে স্মৃতির কারাগার