যাবার আগে
ক্লান্তি মুছে উড়ে যাবো দূর, ডানার অস্ফুট রেখে
তোমার কাছে,
যেনো পৌড় কোনও বিকেল –
দ্বিতল জানালার বাসে
সেও যাচ্ছে বাড়ি
উড়ে যাবো নির্ঝর
মেঘার্দ্র শরীর ছোঁবেনা?
ক্লান্তি মুছে উড়ে যাবো দূর, ডানার অস্ফুট রেখে
তোমার কাছে,
যেনো পৌড় কোনও বিকেল –
দ্বিতল জানালার বাসে
সেও যাচ্ছে বাড়ি
উড়ে যাবো নির্ঝর
মেঘার্দ্র শরীর ছোঁবেনা?
মায়ের সমাধি থেকে উঠে আসে দুরূহ পাথরদাওয়ায় ছড়িয়ে থাকে রোজকার এলোমেলোনুয়ে পড়া গাছে ঠিকা লাগিয়েনিজস্ব জুতো চলে যায়, বহুদূর পথআকাশ দাঁড়িয়ে থাকে একা।করোটির হুলস্থুল কান পেতে শোনে ইঁদুর হাড়ের ভেতর মরে থাকে কোকিল। অন্ধকার দুপুরেপেরেক ঠুকে সামলে রাখি ছায়াসমস্ত ঘড়ি জুড়েবয়ে বেড়াই সিসিফাস বুক।
আমি এবং পৃথিবীর মাঝখানে দেয়াল হলে তুমি তোমাকে অস্বীকার করা গেলে ভেঙে ফেলা যেতো দেয়ালযাওয়া যেতো পৃথিবীর খুব কাছাকাছি নিজেকে অনিশ্চিত বাজির দিকে ছুঁড়ে দিয়ে অপেক্ষা এখন কেবল মৃত্যুরসম্ভবত মৃত্যুই সেই অস্বীকার! নিকোটিন শুষে পঁচে যাওয়া ফুসফুস আর হৃদপিন্ডের ভগ্নাংশ নিয়েআবাদ হওয়া সময়কে কিছুতেই জীবন বলা যায়নাতবুও রোজ দাঁড়াতে হয় তার মুখোমুখিডাকতে হয় প্রিয় নাম, জীবন!
তোমাকে পান্থশালা ভেবে ঢুকেছিলো যে তুমি তার মাথাটাকে চিবিয়ে খেলে। অতোটা অনৈতিক না হলেও পারতে,প্রয়োজন ছিলোনা অবতারণার অনর্থক একটি শব্দের । হৃদপিন্ডের দাঁতগুলো নেকড়ের মতো, হাতগুলো শিকারী বাঘ। যখন তুমি তার সবচেয়ে নরম অংশটাকে চিবিয়ে খাচ্ছিলে এক বৃদ্ধা ক্যারল গাইছিলেন ঈশ্বর কুটিরে।ধর্মাবতাররা জানতেন না পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চোখ ছিলো দীনহীন কুড়েঘরেরএকজোড়া মানুষকে কখন আগুনের মতো…
আমিতো চিরকাল পড়ে আছি এই ভ্রুকুটি চরেপাখি উড়ে গেছে, ঝরে গেছে বিবিধ গৃহস্থালীনাচের মুদ্রা ভেঙে গেলে ঢেউয়েসারেঙের চোখ ফিরেছে তার ঘরেপলি হয়ে জমেছি ফসলি ক্ষেতের ধারেশস্যের আলো কড়া নেড়ে জাগাবে জেনেঘুমিয়েছি কৃষকের মনেজাগায়নি সে, স্রোত এসে ভাঙিয়েছে আমারেপ্রয়োজনে তুলেছে জল জনপদের ঝোপঝাড় থেকে উঠে আসা স্বজনআমিতো চিরকালই পড়ে আছি এমন।
ঠোঁটের তুরুপে সাজানো শব্দগুলো পরিব্রাজক অভিমান নয়, ভালোবাসার কোরাস।মন নদীর ছোট্ট ছোট্ট ঢেউ,পরিত্যক্ত বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজ।বুকের সিঁড়ি ভাঙা মন্থর পা,ভালোবাসা- মরে যাওয়া ঘাসের ফিরে পাওয়া আর্দ্রতা,গাঢ় সবুজ।আস্তাকুড়ে কুুঁচকানো জীবন।পান্ডুলিপির হারানো পাতার মতো অসমাপ্ত পাঠ,ধু ধু বালিয়াড়ি।আয়নায় প্রতিচ্ছবির হিম, ধীর মেঘেদের দল। পাতার ফাঁকে চুঁয়ে পড়া রাত, ঝুলে থাকে বিষাদগ্রস্ত বাদুড়।উদগ্রীব জ্যোছনার ভিস্যুুভিয়াস দহন।মৃত নদীর…
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে মার্বেলের মতো ছুঁড়ে দিয়েছি বেলাদেবদারুর গায়ে নেমে এলে কিন্নর বিকেলচিবুককে বলেছি ভয় পেওনাঅতোটা নিঃসঙ্গতা তোমাকে ছোঁবেনা।….আর তুমি আমাকে বাজেয়াপ্ত করেপিয়ালের বনে গাঢ় শুয়ে আছো অনভিপ্রেত ঘুমেআমার সমস্ত ভালোবাসা গলাকাটা মোরগের মতো কাতরাচ্ছে তোমারই সিথানে যেনো ব্যাকুল কোনো কবিতাদৃশ্যআলোড়ন তুলে নিভে যাবে নির্লিপ্ত, নীরব শব্দের কোঁচকানো ঢেউ, পাশেই ক্লান্ত টঙ্কারনিষ্প্রভ আয়ুরেখা থেকে উঠে আসাএকটা সদাব্যস্ত দীর্ঘশ্বাসে জেনেছি …