যাবার আগে
ক্লান্তি মুছে উড়ে যাবো দূর, ডানার অস্ফুট রেখে
তোমার কাছে,
যেনো পৌড় কোনও বিকেল –
দ্বিতল জানালার বাসে
সেও যাচ্ছে বাড়ি
উড়ে যাবো নির্ঝর
মেঘার্দ্র শরীর ছোঁবেনা?
ক্লান্তি মুছে উড়ে যাবো দূর, ডানার অস্ফুট রেখে
তোমার কাছে,
যেনো পৌড় কোনও বিকেল –
দ্বিতল জানালার বাসে
সেও যাচ্ছে বাড়ি
উড়ে যাবো নির্ঝর
মেঘার্দ্র শরীর ছোঁবেনা?
১প্রলেতারিয়েত হাঙরের দাঁতে ঘুমিয়ে পড়েছে শরৎফ্যান্টাসি জুড়ে কালো রঙের মাইম, জোকার মঞ্চঅস্তিত্বের ওপর ঝুঁকে আধোলীনসূর্যাস্তের দিকে তাকিয়ে থাকা অন্ধকারপ্রিয় জানালাতোমার ভঙ্গিমা এড়িয়েক্ষুধা আমাকে ফেরি করে পৃথিবীময়।২এখানে আধোছায়ামাংসের মর্মরে ভাঙার আওয়াজধাতুফলকের বিচূর্ণ রঙে উড়ে যাচ্ছিকুহকে, অন্তরালে পালকের নরম কাটছে দাঘ্রিমাতোমাদের শহরে আমার স্বাধীনতা মিথের পতাকা। ৩আগুন আর পোড়াচ্ছেনাগড়ে নিচ্ছে কঠিনএখন সকল আঘাতই ঝঙ্কারতথাপি আমার শরীরে বিরহ খোদাই…
আমাকে তুমি বলে দিতে পারো বলে থামিয়ে দিলে কোলাহলওভাবে বহুদিন কেউ স্পর্শ করেনি আমায়যেভাবে তোমার পাঁচটা আঙুল কিনে নিলো অবলীলায়কেউ বললো অন্যায় করছিস, করছিস অযাচারশুধু এইটুক জানতামকাঠঠোকরার মতো পাঁচটি আঙুল খুঁড়ে চলেছে হৃদয় আমারভালোবাসছি আবারশুধুমাত্র সেই পাঁচটা আঙুলকে তোমারযেখানে আমি রাখতে চেয়েছি এতোকালএকটা নির্জন রাতের অনাহারএকটা বিচ্ছিন্ন সমুদ্রতটঅনাহত প্রবল ঝড়,গুড়ো কান্নার দমকএকটা ঝরা পলাশের দলিত…
এখানে কোথাও মুক্তি নেইদেহের চুনকামে আবদ্ধ আত্মা বিধ্বস্ত ডানায়এখানে পাখিরাও আত্মহত্যাপ্রবন অধীর কান্নার স্রোতআয়ত চোখে উদগ্রীব অন্ধকার কেড়ে যে যা নিয়ে যায় তা ফিরিয়ে দেয়া কি এতো সহজ! জীবন্ত চিতায় মুখাগ্নি রোজনীরব নীরবতায় অভিমানের হৈ চৈহাতের রেখায় অনন্ত ক্ষয় জানি এ পৃথবীতেসুখের মিছিল সার্বজনীন নয়। এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার…
এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার তুমি ঘিরা থাইকো আমারেছেয়ে যেয়ো ঘাস, ভাঁটফুলের দলএইখানে, আমি ফিরিবো তোমাদের কিনারে।পরথম যৌবনে যার ঘেরাণ আমি তুইলা নিছি নাকের নোলকেযার বুকের ধারে অঘোরে ঘুমাইছে আমার পত্যেক রাইততার বুকের ভিত্রে নিজেরে থুয়েআমি ফিরিবোতার বুকের ধার ছাড়া ক্যামনে ঘুমাবে আমার রাইত?তুমি এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজর।আমার সন্তানের…
তুই কখনো আমাকে চাসনি,না চেয়েই আমি পুরোটা তোর।অথচ সেজুতি জানেনা তার পাবার অহংকারে কেবলই ফাঁকি।স্টেশনের ক্ষীণ আলোয় চমকে উঠলাম, ভুল দেখছিনা তো!তুই এসে সহাস্যে জনতে চাইলি “কেমন আছ অরুণদা? “গলায় ঢেলা পাকানো অন্ধকার ঠেলে কেবল বলতে পারলাম “ভালো “!একমুহুর্তের জন্য কী পৃথিবীটা এসে থমকে রইলো আমার চারপাশে?বুকের ভেতর এতো কাছাকাছি থাকিস তুইঅথচ হাতছানির দূরত্বে দাঁড়িয়ে…
প্রেমিকার বিমর্ষ চোখপ্যারানয়েড রাত ঘনিয়ে আসে শব্দের শরীরেকবিতায় হায়ারোগ্লিফিক প্রলাপ। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পারলেও প্রেমিকাকে প্রদক্ষিণ করতে পেরেছে এমন কোনো মিথ লিপিবদ্ধ নেই কোনও পুরাণে তাই প্রেমস্যারমন হয়ে বাজে পৃথিবীর বুড়ো দীর্ঘশ্বাসে এবং প্রেমিক সেই রাষ্ট্র প্রেমিকাই যার অলিখিত সংবিধানপ্রেমিক সেই ধর্মপ্রেমিকাই যার একমাত্র ধর্মগ্রন্থপ্রেমিক সেই কবিপ্রেমিকাকে যে লিখে চলেছে সহস্র বছর ধরে। সম্ভবত প্রেমিকাই সেই…