মনসম্ভব, তোমাকে
তোমাকে কি একটু চাইতে পারি?
পাতারা ঝরে যাচ্ছে রাস্তার পাশে টি-স্টলে।
তোমাকে কি একটু চাইতে পারি?
পাতারা ঝরে যাচ্ছে রাস্তার পাশে টি-স্টলে।
প্রেমিকার সিথানে মৃত সৈনিকের নীরবতা রেখে ফিরে যেওনা যুবক।আজ যে শহরের উদোম বুক জুড়ে উন্মাদ জ্যোৎস্না!তুমি থেকে যাও অনায়াসে ভেসে যেতে চোখের মায়ায় তুলে নিতে বুক মলাটের উষ্ণতায়তুমি জেনে নাও এমন বেলায় খুঁজে নিতে হয় ক্লান্তি পোহানো কাঁধের পাশে চেনা অন্ধকার চুলের ভাঁজে হারানোর পথ।শিল্পীর ঔপনিবেশিক মগ্নতায় স্বেচ্ছাচারী ক্যানভাসে অকপট স্পর্শে জাগিয়ে তোলো ঘুমন্ত নগরী ভাঙুক সমুদ্র ঢেউ অথবা রাত প্রহরার বিক্ষুদ্ধ সৈন্যদল।থমকে থাকা সময়ে চেনা নদীর কিনার ঘেষে কাদা মাখামাখি প্রেমকে চুমু খাক রুপালি আলো নরম ঢেউয়ে পাল তোলা কাগুজে নৌকা দূর বন্দরে হারাকআজ তুমি কোত্থাও যেয়োনা যুবক আজ তুমি থেকে যাও….
সুবিধাভোগী ধারালো দাঁত ছিবড়ে খায় মুরগির ঠ্যাং, রাশিয়ান ভদকাএতো রোশনাই! এতো আলোয়লকলকে জীভ কুকুরের মতো চাটে লোভের চিবুকের তিলবিকিয়ে যায় মুন্ডুহীন কঙ্কালআহা! কী মোহময়ক্ষমতার উদ্ধত বুকএনাকোন্ডার মতো মুখে পুরে আস্তে আস্তে গ্রাসআরাম করে ভীষণ ধীরে ধীরে ধীরে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি অনেক কিছু করবার আছে আপনার কী কিছু দেবার আছে?“শোন কালু তোর বউটা তো দারুণ সুন্দরীযা হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলাম…
এখানে কথা হবে নীরবেআচমকা তোমার দরোজায় দাঁড়াবে বিস্ময়অপ্রস্তুত তোমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ফিরে যাবে যেতার আসলে কোথাও ফেরা হবেনা!পাখি কী কখনো পেরেছে আকাশকে করতে পার?যদিও সময়টা অনিশ্চিততবুও মুগ্ধ তুমি সেভাবেই দাঁড়িয়ে রবে অনন্তকালস্মৃতির পাতায় কিংবা প্রলম্বিত অপেক্ষায়।
প্রাক্তণ প্রেমিকেরা সাধারণত কখনো প্রিয় হয়নাস্মৃতি ঘাটলেই মনে হয় কোনো লাশকাটা ঘরে ঢুকে পড়েছিযেখানে ছিন্নভিন্ন বিভৎস দেহ নিয়ে পড়ে আছে ভালোবাসার শবযেখানে ঠান্ডা নীরবতা আর মৃত মৃত গন্ধে আটকে আসে দম অথচ সে আমার ভীষণ প্রিয়শীত সকালে জড়ানো ওমওম চাদরের মতো প্রিয়তার পাতা উল্টালে আজও সুবাসিত হয়ে ওঠে আমার বুক। এখনও মাঝে মাঝে আমাদের দেখা…
ঝুড়ি বটতলায় বসে পুরিয়া সাজাতে সাজাতেজীবনের গল্প করে ওরাঅভিজাত বেডরুমে সুইসাইড নোট লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পরে মেয়েটাবুকের ভেতর নিশ্চিত ঝরঝরে অসুখ নিয়েপ্যাপিরাসের পাতায় পাতায় বর্ণিল মৃত্যু আঁকে কবি।গভীর রাতে শহরগুলো শয্যা হয়ে যায়,নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকেন ঈশ্বর।সুখ কুড়িয়ে বাড়ি ফিরে থু থু ফেলতে ফেলতেবউটাকে বেধড়ক পেটায় বদ্ধ মাতাল।জীবনের মানচিত্র জুড়ে কর্কশ নিশ্বাঃস!ভোর হলেই খুলে যায় পৃথিবীর…
সব্জির দোকানে ছেটানো জলমাংসের দোকানে লেগে থাকা রক্তের ভিড় ভালোলাগেনা আমারভালোলাগেনাভেজানো ছোলায় ফেঁপে ওঠা রাক্ষসকরমচা চোখযাপনের আটপৌড়ে আলনায় ঝুলে থাকা বাহারি জামা। আমি এসব থেকে দূরে যেতে চাই। চাদরের ঝুল বেয়ে নেমে যায় কচ্ছপ রাতমেঝেতে ছড়ানো রিপুর কাঁদমাটি মাড়ানো পা ভিজতে থাকে বর্ষায় আমি শুধু তোমাকে ভাবি,মুঠোয় করে আনি সমুদ্রশ্বাসঅথচ তুমিও মানবিকঅমানবিক কানাঘুষা ছুড়ে মারো আমার মুখে এই বলে স্বান্তনা…