রূপ
সে পুরুষ
তার পেশীর দৃঢ়তা, যেনো কোনও দ্বীপ জাগলো আড়মোড়া ভেঙে
যেনো কোনও আলো জলাধারে
পানকৌড়ি হয়ে আমি ডুব মারি সে সুন্দরে।
সে চোখ তাকিয়ে
আমার আঙুল সুর তুলে নেয় একতারায়
তুমি দেখোনি তাকে
তার শরীর তেপান্তরের মাঠ
আমি সারারাত জেগে বাঁশি বাজাই।
সে পুরুষ
তার পেশীর দৃঢ়তা, যেনো কোনও দ্বীপ জাগলো আড়মোড়া ভেঙে
যেনো কোনও আলো জলাধারে
পানকৌড়ি হয়ে আমি ডুব মারি সে সুন্দরে।
সে চোখ তাকিয়ে
আমার আঙুল সুর তুলে নেয় একতারায়
তুমি দেখোনি তাকে
তার শরীর তেপান্তরের মাঠ
আমি সারারাত জেগে বাঁশি বাজাই।
তোমার ব্যথার পাশে আমি এক গভীর রমণী উড্ডীন তারাদের ছলছলশহর থেকে দূরে গোপন আরোগ্যালয়, সারি সারি শুশ্রুষাশহরের হাওয়ায় দোল খাওয়া নিঃস্ব চুলে পরম আঙুল।তোমার গোপনে আমি এক গহ্বর পিয়ানোনিঃশব্দের রীডে তোমার ভেতর বাজি দিনমানতোমাকে বাজাই দ্রোহ যাতনায়।তোমার বুকের পাশে আমি ছলাৎছল মাছেদের ঋতুকালজলের ঝিরিঝিরি উদ্বেগতোমার ঠোঁটের তীরবর্তী ল্যান্ডস্কেপে সুখের বালিয়াড়ি ঢেউতোমার স্পর্শে আমি সদ্য নারীঢেউয়ে…
১ . এই নীরবতা জানে ,কেমন করে ভাঙছে সকালের কোলাহল |এই নীরবতা জানে ঘন পাইনের বনে মুহুর্মুহু হাওয়া |আমি তো বেরসিক |কখনো জানিনি চুরমার ভেঙে গেলে কত | তোমার পৃথিবীর ক্ষীণ হাওয়ায় দুলে দুলে নিঃশ্বেষ| আমাকে মৌন করো |শব্দের অভিশাপে নুঁয়ে গেছি আরও | হৃদয়ের ডানাগুলো উড়াল ভুলে হাঁসফাঁশ |তোমার দরজায় এসে দাঁড়িয়েছি |মাধুকরী আমি, মুষ্ঠিহীন ফেরত যাবনা একচুল| সারা নদী বয়ে গেছে মুহূর্তের কোলাহলে |ঢেউগুলো অবিরত| রাস্তায় ,বাড়িতে মানুষের ভিড় |অথচ…
শরীর ভেজা দিনে* থামতে থামতে ভেসে গেছি, ঢেউ বলেছে এসোবৃক্ষ শাঁখায় ব্যথার বেশে মানুষের মুখওপাতায় দুলছে হাওয়া,ঝরছে বুক ঢলোঢলো-হৃদয় মর্মর মাটি, পায়ের তালু তৃণ অইতো সর্বনাশের নদী-খোলা মাঠে উদোম গায়ে ছুটছে জীবন ঝুঁকিনগ্নতাকে আঁকড়ে ধরে বাজছে বীণা ধ্রুপদলহর থেকেই আসছে ভেসে বধ করা অসুরবসে আছো ভোরের ভেতর ধোঁয়ায় উড়া মাছি, কতযুগ পরের তুমি, কত যুগের আমি?আমরা…
সেদিন বলছিলে -তুুমি কেবল আমাকে নিয়েই লিখছপৃথিবীটাকে নিয়েও লিখতে পারতে,লিখতে পারতে জানা অজানাকে নিয়ে। আমি স্মিত হেসেছিলামবলা হয়নি – তোমাকে আবিষ্কার কোরেছি আমি পৃথিবী আবিষ্কারেরও বহুপূর্বে। তখনো তোমার সংগে আমার দ্যাখা হয়নিফলন ভালো হয়নি বলে কিষাণীর পায়ের কাছে পরে থাকা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ দুপুরটার যে বর্ণনা লিখেছিলাম এই এতোদিন পর তা হুবহু মিলে গেছে তোমার সংগে! তোমার জেগে…
একটা রাত কাটিয়ে যেও শিয়রেদেখবে কী অনাদরে নিঃশ্বাস পরে থাকে পোষা বালিশেখসে যাওয়া তারার খোসায় চাওয়ার জীবাশ্ম আগলে রাখা দৃশ্যপটকেওকী অমূলক, অসহায় দেখায়দেখবে তুমি-এই অন্ধকারে রোজ মৃত্যু নিয়ে দাঁড়িয়েছি আমিদরোজায় হাইড এন্ড সী খেলায় নিজের ভেতর ডুবে গেছে যেতাকে কোনোদিন ডাকেনি কেউতাকে ফিরিয়ে দিয়েছে মৃণ্ময় সুখতোমার জন্য লিখে রেখেছে সে চিরহরিৎ জীবনপেতে দিয়েছে পর্নমোচি বুক…
এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজরআমি ফিরিবোদিনশেষের কোলাহলে নিজেরে থুয়েএইখানে, তোমার কাছেওগো আন্ধার তুমি ঘিরা থাইকো আমারেছেয়ে যেয়ো ঘাস, ভাঁটফুলের দলএইখানে, আমি ফিরিবো তোমাদের কিনারে।পরথম যৌবনে যার ঘেরাণ আমি তুইলা নিছি নাকের নোলকেযার বুকের ধারে অঘোরে ঘুমাইছে আমার পত্যেক রাইততার বুকের ভিত্রে নিজেরে থুয়েআমি ফিরিবোতার বুকের ধার ছাড়া ক্যামনে ঘুমাবে আমার রাইত?তুমি এইখানে বিছায়ে রেখো পাঁজর।আমার সন্তানের…