শহরে বৃষ্টি নামলে
শহরে খুব বৃষ্টি নামলে
আটকা পড়ে যাই তোমার ভেতর
ভিজে একসা বর্ষাতিতে যেতে থাকি তোমার দিকে।
তুুমি নেই, তবু শতাব্দীর তোরঙ্গ পেটরায় কিছু প্রেম এখনো
কিছু থেতলে গেছে অচেতন
কোলাহলের দিকে যেতে যেতে নিঃসঙ্গতায়।
আমাদের চুম্বন এখনো লেগে আছে পুরনো ছাদে, শ্যাওলা ধরেছে অনেক বর্ষায়
স্পর্শগুলোতে গজিয়েছে ব্যাঙের ছাতার মতো নয়া ত্বক।
আমার সমস্ত ভ্রমণ আজও তোমার বুকে।
তোমাকে উদ্দেশ্য করেই কবিতায় লিখেছি
“আঙুলের ছায়ায় পেতে দিই বিস্তৃত ভূমি
ফসলের দিনে তুমি তারে প্রেম নামে ডেকো”।
এরপর কেটে গেছে কতো কতোদিন
তুমি প্রেম নামে ডাকোনি
সেইসব আষাঢ় জড়ো করে রেখেছি ড্রয়ারে।
এখন আষাঢ় মানেই স্মৃতির জলাবদ্ধতা
ডুবে যাওয়া ফসলের শোক নিয়ে
আমার নিরাকার গোলার্ধে রাত বাড়ে
নিম হাওয়ায় ঘাসের ডগায় দোল খায় নবজাতক কান্না
একসাথে হাসতে-কাঁদতে পারার দিনগুলো আলাদা হওয়া অভিমান সমুদ্রপারে একা হাঁটে।
ব্যালকনিতে ভাবনার শরীর শৌখিন বনসাই,
এলোমেলো পা, পুরনো পাড়া, নোনা স্বাদ
সব বড় কাছে টানে
এস্রাজের সুরে হামাগুড়ি দেয় তোমার পুরনো ঠোঁট
বুকসেলফ থেকে নেমে আসে আদর
আঙুলের খুব অসুখ করে
পায়ের কাছে বেড়ালের নখ আচড় কাটতে থাকে পুরনো বেলা।
আমি আটকা পড়ে যাই এইসব বৃষ্টিতে তোমার ভেতর,
আমাদের পুরনো বেলায়।