- Onuvob Ahmed
- March 21, 2023
- কবিতা
চর
আমিতো চিরকাল পড়ে আছি এই ভ্রুকুটি চরেপাখি উড়ে গেছে, ঝরে গেছে বিবিধ গৃহস্থালীনাচের মুদ্রা ভেঙে গেলে ঢেউয়েসারেঙের চোখ ফিরেছে তার ঘরেপলি হয়ে জমেছি ফসলি ক্ষেতের
আমিতো চিরকাল পড়ে আছি এই ভ্রুকুটি চরেপাখি উড়ে গেছে, ঝরে গেছে বিবিধ গৃহস্থালীনাচের মুদ্রা ভেঙে গেলে ঢেউয়েসারেঙের চোখ ফিরেছে তার ঘরেপলি হয়ে জমেছি ফসলি ক্ষেতের
সুবিধাভোগী ধারালো দাঁত ছিবড়ে খায় মুরগির ঠ্যাং, রাশিয়ান ভদকাএতো রোশনাই! এতো আলোয়লকলকে জীভ কুকুরের মতো চাটে লোভের চিবুকের তিলবিকিয়ে যায় মুন্ডুহীন কঙ্কালআহা! কী মোহময়ক্ষমতার উদ্ধত
সব্জির দোকানে ছেটানো জলমাংসের দোকানে লেগে থাকা রক্তের ভিড় ভালোলাগেনা আমারভালোলাগেনাভেজানো ছোলায় ফেঁপে ওঠা রাক্ষসকরমচা চোখযাপনের আটপৌড়ে আলনায় ঝুলে থাকা বাহারি জামা। আমি এসব থেকে দূরে যেতে
ছত্রাকে ছত্রাকে ঢাকা জনম আর অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর পাশে তুমি কাল্পনিক শ্লেষঅজস্র হত্যার সাবলীল পরিহাস,ইতিকথার শেষখন্ড। কু-আশা ঘেঁটে স্পষ্ট অক্ষরলতায় যে শব্দ,আঙুলের নয়অলক্ষ্যের ইঙ্গিতে যে যোগাযোগসেখানেই সত্যপ্রেম,
মায়ের সমাধি থেকে উঠে আসে দুরূহ পাথরদাওয়ায় ছড়িয়ে থাকে রোজকার এলোমেলোনুয়ে পড়া গাছে ঠিকা লাগিয়েনিজস্ব জুতো চলে যায়, বহুদূর পথআকাশ দাঁড়িয়ে থাকে একা।করোটির হুলস্থুল কান
গোপনে, অ-সুখে চাঁদের উনুনে পুড়ছে কাম ও প্রেমের খড়ি।একটা চিঠিতেও তোমাকে লিখতে পারিনিকত কাছাকাছি থাকি, আষ্টেপৃষ্ঠেদেখাদেখি নেইতবুবাঁকা বিদ্রুপের মতো তোমার বেআব্রু দৃষ্টিবোতাম এঁটে নিষিদ্ধ করে
১প্রলেতারিয়েত হাঙরের দাঁতে ঘুমিয়ে পড়েছে শরৎফ্যান্টাসি জুড়ে কালো রঙের মাইম, জোকার মঞ্চঅস্তিত্বের ওপর ঝুঁকে আধোলীনসূর্যাস্তের দিকে তাকিয়ে থাকা অন্ধকারপ্রিয় জানালাতোমার ভঙ্গিমা এড়িয়েক্ষুধা আমাকে ফেরি করে
সভাঘরের এককোণে আপনার সবচেয়ে সুন্দর ছবিটা টানিয়ে আলোচনা হচ্ছেকিছুক্ষণ আগে আপনাকে আবৃত্তি করেছেন একজন সুন্দরী রমণীযার চিবুকে একটি গাঢ় তিল আছেতিলটা সম্ভবত আপনার জীবনের মতো
সুখ নামক ট্যুরিস্ট লাউঞ্জে মাঝে মাঝে বেড়াতে আসি। এখানে বেশিদিন থাকা আমার মতো দরিদ্র্যের পক্ষে সম্ভব হয়না। কষ্টে-সৃষ্টে জমানো সম্বল ফুরিয়ে যায় অল্প আয়াশেই। অগত্যা
আমাকে তুমি বলে দিতে পারো বলে থামিয়ে দিলে কোলাহলওভাবে বহুদিন কেউ স্পর্শ করেনি আমায়যেভাবে তোমার পাঁচটা আঙুল কিনে নিলো অবলীলায়কেউ বললো অন্যায় করছিস, করছিস অযাচারশুধু